প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ২০:০৪ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪ ২০:১১ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ফাইল ফটো
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমাদের যুদ্ধ চলছে, অঘোষিত স্বাধীনতা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে দেশের প্রতিটি মানুষকে শরিক হতে হবে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সব পেশার মানুষকে। কেননা আমরা এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।’
বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে চিকিৎসকের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে দেশে মদ আমদানি হয় বিনা শুল্কে, আর খেজুর আমদানি করতে হয় শুল্ক দিয়ে। আমরা কি এই দেশ চেয়েছিলাম? ৭১ সালে অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশকে কেনো স্বাধীন করেছিলাম? কথা ছিল গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু আমরা ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্র আজও পাইনি। এই পাওয়া না পাওয়ার পেছনে কারও প্রভাব রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে এই উপমহাদেশের অনেক ছোটো ছোটো দেশ বড় দেশের পেটে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা না। ইনশাআল্লাহ, সময় সুযোগ আসবে দেশের জনগণ ও তরুণরা সেটা প্রমাণ করবে।’
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্থান কালভেদে কোনো আন্দোলন হয় না। আমাদের যখন সময় হবে আঘাত করার তখন আঘাত করব। জালিমের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে জালিমকে সরাতে হবে। তবেই দেশের জনগণ মুক্তি পাবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র মুক্ত পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইব না, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। দেশকে জালিমের হাত থেকে মুক্ত করব। আমরা কি পেলাম আর কি পেলাম না এই হিসাব করা যাবে না। বরং আমরা দেশকে কি দিলাম, জনগণের জন্য কি করতে পারলাম এই ভেবে আন্দোলনে নামতে হবে।’
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আজকে জগদ্দল পাথরের মতো এই স্বৈরাচার সরকার বসে আছে। মনোবল শক্ত রাখুন, আমরা রাজপথে নেমেছি। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি এই সরকারকে হটিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব, ইনশাআল্লাহ। এটাই হোক আমাদের আজকের শপথ।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আজকে আমরা কঠিন সময় পার করছি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র উত্তরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকার পতন ঘটিয়ে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী, ইউট্যাবের ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রমুখ।