সুপ্রিম কোর্টের বার নির্বাচনে মারামারি : রুহুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তারের নিন্দা বিএনপির

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনার মামলায় বিএনপি-জামায়াতপন্থি নীল প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার সুপ্রিম কোর্টকেও অপবিত্র করেছে। মিথ্যা অজুহাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচনে ভোটের প্রতিফলন ঘটলে এবারও তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতেন। ভোট গণনা কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মারামারি করেছে, কৃত্রিম সংঘাত করেছে।

রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশি বাধার মুখে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের নয়াপল্টনের সামনে এসে শেষ হয়।

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের ভোট গণনা কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ২০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার শাহবাগ থানায় মামলা হয়। পরদিন সন্ধ্যায় পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে মামলার দ্বিতীয় আসামি রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই মামলার প্রধান আসামি স্বতন্ত্র থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথি।

রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ– আইনজীবী যুথি যুবলীগ সভাপতির স্ত্রী। তার গ্রুপের লোকজন নির্বাচনে মারামারি করেছে। সংঘাতের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি সমর্থিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মাফিয়া এবং সিন্ডিকেটবাজ সরকার কেবলমাত্র একজন আইনজীবীকে মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্টকে অপবিত্র করেছে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা। রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার অবৈধ, রিমান্ড অবৈধ। তার রিমান্ড বাতিল করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, শেখ মো. শামীম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আলী আকবর চুন্নু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ রুবেল, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ প্রমুখ।