প্রশ্ন অর্থমন্ত্রীর
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪৬ পিএম
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:১৩ পিএম
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ছবি : সংগৃহীত
বর্তমানে যেখানে উন্নয়নের সূচকগুলো বাড়ছে, সেখানে মূল্যস্ফীতি মূল উদ্বেগ হয় কীভাবে বলে প্রশ্ন রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেমন প্রশ্ন করবেন, সেরকম জবাবই পাবেন।’
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মানুষের মূল উদ্বেগ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতিই মূল উদ্বেগ হয়ে গেল, আর কিছু না। এটা মূল উদ্বেগ হয় কী করে। ১ কোটি লোককে কার্ড দেওয়া হয়েছে। তারা সস্তা দামে পণ্য পাচ্ছেন।’
ডিসিরা তো মাঠ পর্যায় কাজ করেন মূল্যস্ফীতি নিয়ে তারা কিছু বলেছেন কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো বলেছি। রাজস্ব আদায় করতে ডিসিরা সহায়তা করবেন।’
জেলা প্রশাসকদের কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের উন্নয়নের সূচকগুলো বাড়ছে। আপনারা দেখছেন, আজকে যে ফেব্রুয়ারির রেমিট্যান্স ঘোষণা করা হয়েছে। ২১৬ কোটি ডলার, কাজেই যেটা বলছিলাম, সবগুলো সূচকই বাড়ছে। এখানে অনিশ্চয়তা কিংবা হতাশার কিছু নেই। এগুলো একটা মিথ্যা প্রপাগান্ডা করা হচ্ছে, সেটা চলছেই। বিএনপির মহাসচিবও তার জায়গা থেকে একই কথা বলেছেন, তিনি তো কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। তারা এসব কথাই বলে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছিলেন পদ্মা সেতু ভেঙে পড়বে। এগুলো মারাত্মক কোনো সমালোচনা না। এগুলো কীভাবে বলেন! তিনি সিরিয়াসলিই এমন কথা বলেছেন যে আওয়ামী লীগ জোড়াতালি দিয়ে এ ব্রিজ বানিয়েছে, ভেঙে পড়তে পারে—আপনারা উঠবেন না। এগুলো চলছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো থেকে সত্যিকার চিত্র তুলে ধরবেন আপনারা। তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন—দেশ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আজকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ যেটা দিয়েছেন, সেই লক্ষ্য ধরে বাংলাদেশ এগুচ্ছে। বাংলাদেশের যে অব্যাহত উন্নতি এবং মানুষের মধ্যে যে নতুন আশার সঞ্চারণ হয়েছে, এগুলো রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন, মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন যে মানুষ কতটা খুশি ও আশ্বস্ত হয়েছেন। মেট্রোরেলে নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন।’