মাতৃভাষা দিবসের সভায় বিএনপি নেতারা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৯ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৫ পিএম
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভা। মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। প্রবা ফটো
ভাষা আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে সরকার পতনের এক দফা দাবির আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি– দেশে গণতন্ত্র নেই, বাকস্বাধীনতা নেই। ভোটাধিকার নেই। এজন্য বিএনপি ঘোষিত এক দফার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন দলটির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান ও বেগম সেলিমা রহমান; ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন; চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সংগঠনের নেতারা।
ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘আবারও বিএনপি সফল হবে। বিএনপি মানেই শান্তি ও গণতন্ত্র। বিএনপি মানেই সাধারণ মানুষের উন্নতি ও সাধারণ মানুষের জন্য শিক্ষা।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটে। পাকিস্তানিদের বলেছিলাম– তোমাদের বৈষম্যের শাসন মানি না। ৭০-এর নির্বাচনে বাঙালি তাদের ব্যালটের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের বুঝিয়ে দিয়েছিল, তোমাদের চায় না। ফলে পাকিস্তান মুসলিম লীগ সরকারের ভরাডুবি হয়েছিল। নির্যাতন-নিপীড়ন করে পাকিস্তানের রক্ষা হয়নি। এই আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না। রাষ্ট্রীয় সম্পদ যাদের রক্ষা করার কথা, তারাই লুট করে দেউলিয়া করেছে। কর্মসংস্থান নেই। হাজার হাজার বেকার। এজন্য তো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার হলো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা সরকার। এদের কোনো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নেই। তারা বিরোধী রাজনীতিবিদদের নিয়ে যে রকম ভেংচি কাটে এবং কথা বলে, তাতে প্রমাণিত হয় লজ্জা নেই।’
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, তা আজ ভূলুণ্ঠিত। এই সরকার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আমরা এই দুটি জিনিস ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছি।’
সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমাদের সব অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সেই সঙ্গে একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন করা হয়েছিল। সেই আন্দোলন আমাদের আজও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জোগায়। সেদিন পাকিস্তানিদের অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্রসমাজসহ সাধারণ মানুষ বিদ্রোহ করেছিল।’
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আজকে আমরা এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরব। বাঙালি জাতিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জেড মোর্তুজা চৌধুরী তুলা, অঙ্গসংগঠনের হেলেন জেরিন খান, মো. আব্দুর রহিম, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, শাহ মো. নেছারুল হক, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, কাজী মো. সেলিম রেজা, তানজিল হাসান প্রমুখ।