প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৩ এএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৬ এএম
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গ্রামের মানুষের কাছে খাদ্য, পানি ও শিক্ষার মূল্য সবচেয়ে বেশি। তারা চিন্তা করে নিজে ও পরিবারকে খাওয়াতে পারল কিনা, তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করত পারল কিনা। তাদের কাছে গণতন্ত্র বড় বিষয় নয়।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের শাসনামলে কোনো সচিব পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশে) আসলে গণমাধ্যমগুলো প্রথম পাতায় সংবাদ প্রকাশ করত। তখন এসব বিষয় ছিল বড় ব্যাপার-সেপার। আর বর্তমানে আমাদের পণ্ডিত ব্যক্তিরা শহরের সভা-সমাবেশে গণতন্ত্রসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন কিন্তু অজপাড়া গ্রামের কথা চিন্তা করেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই বিষয়টি উপলব্ধি করে গ্রামকে প্রাধান্য দিয়েছেন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছেন। এখন একেকটি গ্রাম একেকটি শহরে পরিণত হয়েছে। কেননা গ্রামের মানুষ গণতন্ত্রের চেয়ে নিজের পরিবার পরিজনের খাদ্য, চিকিৎসা, পয়নিষ্কাশনের বিষয়গুলো প্রধান দিয়ে থাকে। আমি নিজেও এসব সমস্যাকে জরুরিভিত্তিতে সমাধানে কাজ করেছি, করে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগররের এনইসি কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) বিদায়, বরণ ও অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজেএফবির বিদায়ী ও নতুন সভাপতি হামিদ-উজ-জামান মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির সচিব আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব প্রমুখ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান বলেন, ‘সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্র বিকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে। আমাদের দেশে গণতন্ত্র ও আইনের ক্ষেত্রে প্রসারিত হচ্ছে। গণমাধ্যম সেখানে ভূমিকা রাখছে। নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে আপনারা জড়িত। রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োজিতরা জনগণের কাছে জবাবদিহিতার একটি মাধ্যম গণমাধ্যম। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সবাই নিজ নিজ স্থানে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন বিষয়টি ৫০ বছর আগেও চিন্তার ক্ষেত্র ছিল না। বর্তমানে আমরা দেশের উন্নয়নে নিজেদের চিন্তা ও কাজকে প্রাধান্য দিয়েছি। জনগণের পয়সা আমরা কেন অপচয় করব এসব চিন্তা কাজ করার সময় মাথায় রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে অপমানের জন্য খুঁচাব না বরং ভালো কাজ আদায়ের জন্য কাজ করব।’
আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের সবার উদ্দেশ্য দেশের কল্যাণে কাজ করা। সেসব কার্যক্রম সরকার ও দেশের জন্য ভালো নয় এমন সংবাদ প্রকাশিত হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ‘দেশের মূল চাবিকাঠিই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। কেননা এখান থেকেই প্রকল্পগুলো নেওয়া হয় ও পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাই সাংবাদিকদের প্রতিবেদন আমাদের পথ দেখাবে।
হামিদ-উজ-জামান মামুন বলেন, ‘পুরাতন ভুলগুলো যেন এবার না হয়। সবার অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। পারস্পরিক সম্মান ও ভালোবাসা থেকেই কাজ করতে হবে। কারও উপরে চাপ প্রয়োগের ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা নিজেরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।’
সভায় নতুন সদস্যদের বরণ ও বিদায়ী কমিটির সদস্যদের ফুল, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী দিয়ে সম্মান জানানো হয়।