ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম মহানগর সম্মেলন শুরু
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩৬ পিএম
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর সংসদের ৪২তম সম্মেলন শেষে মিছিল করে সংগঠনটি। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর সংসদের ৪২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে দুপুরে এই সম্মেলন শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়ে টিএসসি থেকে শাহবাগ হয়ে পুনরায় স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এসে শেষ হয়।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি বিল্লাল হোসনের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক সাখাওয়াত টিপু, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম ও সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান আসিফ জামান। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদুল ইসলাম। এতে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘একপাক্ষিক ও অগণতান্ত্রিক নির্বাচন’ বলে সমালোচনা করেন বক্তারা। তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে এক কর্তৃত্ববাদী সরকার বিরাজ করছে। গত ৭ জানুয়ারি ‘ডামি প্রতিনিধি’ দিয়ে, সন্ত্রাসী এবং প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে চোখের সামনে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে তোয়াক্কা না করে একটি জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছে। বাংলার জনগণ এই নির্বাচনকে প্রত্যাখান করেছে।’
সাখাওয়াত টিপু বলেন, ‘এক ভয়াবহ দুর্বিষহ সময়ের মধ্যদিয়ে আমরা যাচ্ছি। দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির আন্দোলন করতে গিয়ে খুন ও সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আমরা আমাদের দেশকে এমন অবস্থায় দেখতে চাই না। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এসে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই এমন অব্যবস্থাপনা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সম্মেলনে সাত দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- মেট্রোরেলসহ সব গণপরিবহনে ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন হাফ পাস নিশ্চিত করতে হবে। কাগজ-কলমসহ শিক্ষা উপকরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ ও মানসম্মত শারীরিক শিক্ষা চালু করতে হবে। শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ বরাদ্দ দিতে হবে। সর্বজনীন, বৈষম্যহীন, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। সব লিঙ্গের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে এবং লিঙ্গ সংবেদনশীল নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
দুইদিনব্যাপী এই সম্মেলনে আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।