প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৪ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৬ পিএম
সোমবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। প্রবা ফটো
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজির জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘সরকারই সিন্ডিকেটদের পোষে।’
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি। নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না : গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান হয়।
মান্না বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচন হয়েছে এক মাসেরও বেশি। জিনিসপত্রের দাম আগের চাইতে বেশি। একটা ভোট হলো জিনিসের দাম কমল না। আগামী মাসের ১৭ তারিখ থেকে রোজা। জিনিসের দাম কমবে? সরকার বলেছে- রোজার কারণে তারা চাল, তেল, চিনি, খেজুরের ওপরে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। তারপরও এসব জিনিসের একটারও দাম কমেনি।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার নিজেকে খুবই শক্তিশালী মনে করে, কিন্তু সিন্ডিকেটে হাত দিতে পারে না। এরা সিন্ডিকেটদের পোষে। মানুষ যেমন বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখে, তেমনি আমাদের সরকার এ দেশের অনেকগুলো গুণ্ডা পালে। আর এরা হলো এ দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী। তারা বড় বড় ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়, সেই টাকা বিদেশে পাচার হয়। আমাদের এখানে একজন আছে দরবেশ বাবা, আছে এস আলম, আছে সামিট গ্রুপ। সরকার তাদের ঋণ দেয়। সরকার তাদের কিছুই করতে পারে না।’
মান্না আরও বলেন, ‘আমরা বলি নাগরিক ঐক্য অনেক বড় দল নয়, কিন্তু নিজের মনের মধ্যে বিশ্বাস থেকে বলি। আমরা মনে করি, জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব। আমরা যদি ক্ষমতায় যাই, আমাদের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ যদি ক্ষমতায় যায়, প্রথম কথা হলো সিন্ডিকেট থাকবে না। আপনারা জানেন টিসিবি হিসাব করে দেয় কোন জিনিসের দাম কত হবে। বাজারে বাজারে জিনিসপত্রের দাম লটকানো থাকে। আমাদের সময়ে যে টিসিবি থাকবে, সেই টিসিবি সত্যি সত্যি চালের দাম কত হবে তা নির্ধারণ করা হবে। মানুষ যাতে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে এবং ব্যবসায়ীও যাতে মুনাফা করতে পারে, সেসব ঠিক করে বাজারে জিনিসপত্রের দামের তালিকা টাঙানো থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে আটটি স্বাক্ষর অভিযান করেছি। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাতেও আমাদের স্বাক্ষর অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা বলেছি, এই স্বাক্ষর অভিযান চলতে থাকবে। আমরা দেখাব, দেখো, লাখ লাখ মানুষ সই দিয়েছে। আমরা সেই সই দেশের মানুষ ও বিশ্বের মানুষকে দেখাব।’
অনুষ্ঠানে পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ১৩ ফেব্রুয়ারি মালিবাগ হোসাফ টাওয়ারের সামনে, ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী মোড়ে, ১৬ ফেব্রুয়ারি শনির আখড়া ফুটওভার ব্রিজসংলগ্ন, ১৮ ফেব্রুয়ারি ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।
অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।