বর্বরতায় অভ্যস্ত বিএনপি-জামায়াতের মানবিক বাংলাদেশ ভালো না লাগাই স্বাভাবিক : শেখ পরশ

বর্বরতায় অভ্যস্ত বিএনপি-জামায়াতের শেখ হাসিনার মানবিক বাংলাদেশ ভালো না লাগাই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামাত) জাতির পিতাকে অমানবিক ও নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করেছে। গণহত্যা চালিয়ে শত শত মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারদের হত্যা করেছে। ৩ নভেম্বর জেলাখানায় বিনা বিচারে জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করেছে। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতাকর্মী-সমর্থকদের হত্যা করেছে। ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৫ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচন প্রাক্কালে অগ্নিসন্ত্রাস করে নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বর্বরতায় যারা অভ্যস্ত; সেই বিএনপি-জামায়াতের শেখ হাসিনার মানবিক বাংলাদেশ ভালো লাগবে না, এটাই স্বাভাবিক।’

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় রাজধানীর গাবতলী সিটি কলোনী মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। বাংলাদেশের মানুষ যারা একবেলা খেতে পারে না, ছিন্ন কাপড় পরণে, যাদের থাকার জায়গা ছিল না, চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না, শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না, সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তনই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ করে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হবো। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের মত পরিষ্কার যে জনগণের অধিকার খর্ব করাই বিএনপি-জামাতের প্রধান কাজ। আজকেও তারা এদেশের সাধারণ মেহনতি মানুষের অধিকার হনন করার জন্যই কালো পতাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে চলেছে। আবারও এদেশকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী দেশে পরিণত করার পায়তারা করছে।’

পরশ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ অতন্দ্র প্রহরীর মত তাদেরকে রাজপথে প্রতিহত করেছে এবং করতে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত এদেরকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিতাড়িত করতে না পারি ততদিন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথেই থাকবে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের মানবিক উন্নয়নের ধারা ও এদেশের মানুষের মাথা উচু করে দাঁড়াবার অধিকার রক্ষা করবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি বলেন, ‘আজকের এই মানবিক কর্মসূচি থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই যুবসমাজ, ছাত্রসমাজের প্রতি যে আপনারা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গত ৭ জানয়ারি ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনাদের স্থায়ী বসবাসের জন্য ফ্ল্যাট বানিয়ে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। পর্যায়ক্রমে ঘরহীন-ভূমিহীন সবার জন্যই ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দিবেন তিনি। আপনাদের যে পানির সমস্যা ছিল ইতোমধ্যে তা ঠিক করা হয়েছে। পানির আর সমস্যা থাকবে না। সুতরাং আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন। বিএনপি-জামাতের কোন ষড়যন্ত্রে ভয় পাবেন না। ওরা দেশ ও জনগণের শত্রু।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়া সদস্য মোঃ মঞ্জুর আলম শাহীন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোয়াদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মোজহারুল ইসলাম, মোঃ সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল অলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।