প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:০০ এএম
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০১ এএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধসহ নানা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা। ছবি : সংগৃহীত
দেশে বর্তমান যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এবং সংবিধানে উল্লেখিত ব্যবস্থার উল্টো বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধসহ নানা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রিন্স বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনীতির ধারায় দেশ চালাতে হবে। বামপন্থীরা ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনৈতিক ধারায় দেশ চালাবে, যা সংবিধানে এখনো লিপিবদ্ধ আছে। আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নতুন বুদ্ধি বের করেছে, যা খরচ হবে তার পুরোটা জনগণকে দিতে হবে। এখন খরচ কত সেটা সে নির্ধারণ করবে। কাউকে কিছু বলবে না। দেখবেন প্রতি মাসের বিলের সঙ্গে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এটাকে ভদ্র ভাষায় সরকার নাম দিয়েছে দামের সমন্বয়।
তিনি বলেন, আজকের লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে আলাদীনের চেরাগ আর যারা উৎপাদন করে, কৃষক, মেহনতি মানুষ, তাদের হাতে রঙচটা থালা। রঙ চটা থালার অবস্থা যা হয় তাই আর আলাদীনের চেরাগ যা চায় তাই। এ সময় তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারসহ অন্যান্য অভিযোগের অনুসন্ধান ও দ্রুত রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানান। একই সঙ্গে সারাদেশে উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় চালু, সহজ ও চাঁদাবাজমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা চালু, প্রকৃত উৎপাদক, কৃষকের পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ও উৎপাদন ব্যয় কমাতে কম মূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহের দাবি জানান অন্য নেতারা।
সমাবেশে বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, দেশের ৩৭ ভাগ মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থায় সমস্ত জিনিসের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। যারা বাড়াচ্ছে সেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা সম্পদের পাহাড় গড়তে পারে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) খালেকুজ্জামান লিপন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ। সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর হয়ে পুরা‘নো পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।