× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মিয়ানমার সীমান্ত ঘটনায় সরকারের ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ বিএনপির

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:২২ পিএম

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৩ পিএম

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ফাইল ফটো

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ফাইল ফটো

মিয়ানমার সীমান্ত ঘটনায় বর্তমান সরকারের পদক্ষেপকে নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহিঃপ্রকাশ আখ্যা দিয়ে এজন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপির নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ এই অবস্থায় অনির্বাচিত আওয়ামী ডামি সরকারের অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো ও কার্যকর রাজনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার পরিবর্তে শুধু ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের অবস্থান গ্রহণ নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে অতীতের ন্যায় অন্তঃসারশূন্য যে বক্তব্য দিচ্ছে তাতে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বড় ধরনের ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে।’

এতে বলা হয়, ‘গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদিদের তুমুল গোলাগুলি-সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দুপক্ষের ছোড়া গুলি, মর্টার শেল, বিস্ফোরিত রকেট লাঞ্চারের খোল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। এতে প্রতিদিনই বাংলাদেশের ভেতরে হতাহত, ঘরবাড়ি দগ্ধ হচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত এলাকা ছাড়ছেন স্থানীয়রা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গতকাল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) শতাধিক সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছে শত শত নাগরিক যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়তে পারে।

স্থায়ী কমিটি মনে করে, জনসমর্থনহীন সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা ও  স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছে। দেশের সীমান্ত ও স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ না নিয়ে গতকাল ডামি সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতে বলা হয়, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অনির্বাচিত বলেই সাহস করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না। আজকে অন্য দেশের দ্বারা আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যখন হুমকির সম্মুখীন, স্বাধীনতা যখন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে, তখন শেখ হাসিনার ডামি সরকার কিছুই করতে পারছে না। তারা জনগণকে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে অন্যের সেবাদাসত্ব করতে বাধ্য হচ্ছে বলেই এই অবস্থা।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতালিপ্সা আর অপরিণামদর্শিতার কারণেই বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এক বড় সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর এই দীর্ঘকাল অবস্থান একটি নতুন মানবিক সংকট হিসেবে বিদ্যমান।’

বিবৃতিতে নীতিনির্ধারকরা বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরকার ক্রমাগত কূটনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। মেরুদণ্ডহীন এই নতজানু সরকারের কারণেই জাতীয় সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে এবং জননিরাপত্তা অরক্ষিত। আওয়ামী ডামি সরকার কেবল দেশেবিরোধী মত দমন করতেই পারঙ্গম। অথচ সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করে দেশের মানুষকে হত্যা করা হলেও ভীত-পরনির্ভরশীল সরকার বলছে ধৈর্য ধরতে হবে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের দায়িত্ব কি কেবল বাংলাদেশিদের লাশ গ্রহণ করা?’

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার শাসনামলে তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে মিয়ানমারের তৎকালীন শাসকশ্রেণি সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারেনি। কারণ তারা যেকোনো আগ্রাসী আচরণের উপযুক্ত জবাব দিতে সদাপ্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু বর্তমান গণধিকৃত সরকারের সেই সক্ষমতা নেই বলেই সীমান্তে অন্যায় রক্তপাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পায়।

এতে আরও বলা হয়, ‘বিএনপির শাসনামলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কয়েক লাখ মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শহীদ জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়, সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অতিদ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে সক্ষম হয়।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা