সমালোচনার জবাবে জিএম কাদের
রংপুর অফিস
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৯ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৭ পিএম
বড় ভাই প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বুধবার দুপুরে রংপুর নগরীর দর্শনায়। প্রবা ফটো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য ‘ফ্লোরে’ দেওয়া বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
রংপুর-৩ আসনের এই সংসদ সদস্য নিজ বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন– রেওয়াজ মানুষের তৈরি। নতুন রেওয়াজ তৈরির জন্য মানুষ রেওয়াজ ভাঙে। রেওয়াজ কোনো আইন নয়। আইন হলেও তা পরিবর্তন করা যায়।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর দর্শনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সেখানে অবস্থিত পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন তার ছোট ভাই জিএম কাদের।
গত মঙ্গলবার সংসদে জাপা চেয়ারম্যান বলেছিলেন, যদি সরকারি দলকে লাল বলি তাহলে এ সংসদ সম্পূর্ণ লালময়। সবুজটা শুধু ছিটেফোঁটা। এ সংসদে সম্পূর্ণ জাতিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে, তা আশঙ্কার বিষয়।
বিভিন্ন অঙ্গনে এই বক্তব্যের সমালোচনা জন্ম দেয়। খোদ সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংসদ কার্যকর না হলে জিএম কাদের কেন এলেন? মঙ্গলবার সংসদে দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি।
জবাবে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘প্রথম সংসদ অধিবেশনে আমি অসন্তোষের কিছু বলিনি। বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্পিকারের কাছে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছি, যুক্তি দিয়েছি। আমি কোনো অসাংবিধানিক বক্তব্য দেইনি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে সরকারের সামনের চ্যালেঞ্জ কী, তা উল্লেখ করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় এই নেতা। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা চোখে না পড়লেও ভেতরে ভেতরে রয়েছে। জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ।’
নিজ দল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা প্রায় ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। ২০০১ সালে সর্বশেষ ৩০০ আসনে নির্বাচন করেছি। সেই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৪টি আসন পেয়েছিলাম। ৩৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে আমাদের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী দলে বিরাট ধস নেমেছে তা আমি মনে করছি না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-১ আসনের এমপি একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, জেলা যুব সংহতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।