প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৯ পিএম
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভা। প্রবা ফটো
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনী তামাশার মধ্যদিয়ে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেশকে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনকে নিরঙ্কুশ করতে যেয়ে সরকার ও সরকারি দল সব সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ভঙ্গুর ও অনুগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী সভার প্রথম দিনে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
এতে সাইফুল হক বলেন, ‘বাস্তবে এক লুটেরা মাফিয়াতন্ত্র দেশকে আজ দখল করে ফেলেছে। ভোটের নামে দেশের জনগণকে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে যে অপমান করা হচ্ছে সমকালীন বিশ্বে এরকম উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর।’
তিনি বলেন, ‘নজিরবিহীনভাবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করে দেশের মানুষ সরকার ও সরকারি দলের বিরুদ্ধে গণঅনাস্থা জানিয়েছে। এটা বিরোধীদলগুলোর রাজনৈতিক বিজয়।’
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির গণঅনাস্থার পর বাস্তবে সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনায় সরকারি দলের আর কোনো রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই। জনম্যান্ডেটহীন এই সরকারকে প্রলম্বিত করারও কোনো অবকাশ নেই। এখন এই গণঅনাস্থাকে রাজপথে গণসংগ্রাম আকারে বিস্তার ঘটানোই বিরোধী দলগুলোর প্রধান রাজনৈতিক কর্তব্য।’
তিনি বিগত আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নিয়ে দ্রুত আন্দোলন পুনর্গঠনে এগিয়ে আসতে সব বিরোধীদল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, এপোলো জামালী, সজীব সরকার রতন, নির্মল বড়ুয়া মিলন, মীর রেজাউল আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, নীলুফার ইয়াসমিন, আবুল কালাম আজাদ, সাবিনা ইয়াসমিন, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে যশোরের শার্শা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের গুলিতে বিজিবির সদস্য রইশুদ্দিনের নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবি থেকে প্রয়োজনীয় প্রতিবাদ না করায় বিস্ময় প্রকাশ করা হয় এবং বলা হয়, অনুগত পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যাবে না।
সভার শুরুতে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ ও ইজরায়েলী আগ্রাসনে গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।