প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:০৭ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:২৩ পিএম
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রবা ফটো
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন এখন দেশে-বিদেশে হাসি-তামাশায় পরিণত হয়েছে। তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি, তাদের আন্দোলনের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে। মূলত তাদের তথাকথিত আন্দোলন দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনে সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা নেই। কাজেই তাদের আন্দোলন স্পষ্ট নয়। একবার তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আবার নির্বাচন বানচালের জন্য আন্দোলন করে। আসলে বারবার তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে তারা হাসি-তামাশায় পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে। আমাদের কথা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণভাবে এদের কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার আছে, কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি তারা ২৮ অক্টোবরের মতো এবং এর পরবর্তী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, সেই অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সকল জেলা ও মহানগরে কালো পতাকা মিছিল করবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সকল রাজবন্দির মুক্তি, সংসদ বাতিলের উদ্দেশ্যে—আপনার মতামত কী—জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচি দেয় আমরা তাহলে বাধা দেব না। রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা পালন করতেই পারে, এটা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির বাইরে না, কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি সংঘাতের আশ্রয় নেয়, সেই অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবে। এবং রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবিলা করব।’
সরকারের স্বীকৃতির জন্য আর কারও প্রয়োজন নেই জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘৪২ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটে একটি নির্বাচিত সরকার। এখানে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা হিংসায় জ্বলছে। অংশগ্রহণ না করার পরেও বিপুলসংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দলকে নির্বাচিত করেছে। তাই ঈর্ষাকাতর হয়ে তারা হিংসার আগুনে জ্বলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর প্রমুখ।