× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অ্যামনেস্টি, টিআইবি ও সুজন একই সূত্রে গাঁথা : ওবায়দুল কাদের

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৭ পিএম

আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২১ পিএম

অ্যামনেস্টি, টিআইবি ও সুজন একই সূত্রে গাঁথা : ওবায়দুল কাদের

ড. ইউনূসের সাজা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দেওয়া বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তাদের মন্তব্যটা কেমন হবে আগেও লক্ষ করেছি। একটা বৈরী মনোভাব এই সরকারের প্রতি তাদের রয়েছে। বাংলাদেশের টিআইবি, সুজনের ভূমিকাও একই সূত্রে গাঁথা।’ 

বুধবার (৩ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে ড. ইউনূসের দোষী সাব্যস্ত হওয়াটা বাংলাদেশের মানবাধিকার বিপর্যস্ত হওয়ার প্রতীক। কর্তৃপক্ষ স্বাধীনতা খর্ব করে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করছে, সমালোচকদের দমন করছে। আমরা জানি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে কর্মরত আছেন তারেক রহমানের আত্মীয় আইরিন খান। যিনি একসময় ডেইলি স্টারে কাজ করেছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি জাস্ট একটা কথা বলব, গাজায় ইসরায়েলের যে জেনোসাইড, গণহত্যা চলছে, আমরা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে জানতে চাই, আমাদের দেশে শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি মামলায় আমাদের স্বাধীন আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেটা নিয়ে তাদের এত মাথাব্যথা, গাজায় গণহত্যা নিয়ে তাদের কী ভূমিকা? সেটা আমরা জানতে চাই। অবলা নারী, অবুঝ শিশু, ৯৩ জন সাংবাদিককে সেখানে হত্যা করেছে। সেটা আপনারা জানেন। সাংবাদিকদের ব্যাপারে কিছু বলেছে? একটি মামলায় শ্রমিক অধিকারের যে রায় সে রায়কে কেন কটাক্ষ করছে? ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা একটা বিষয় লক্ষ করেছেন, ক্রমান্বয়ে নির্বাচন কমিশন তার স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে তারা সে অধিকার প্রয়োগ করতে পারছে। দায়িত্ব পালন করতে পারছে বলেই নির্বাচনে আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আচরণবিধি যেখানে লঙ্ঘন হয়েছে, যেখানেই তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। কর্তব্য পালনে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করছে না। নির্বাচন কমিশন আইনগতভাবে স্বাধীন দায়িত্ব যথাযথভাবে যতই পালন করতে পারবে, ততই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এ নির্বাচনের মাধ্যমে যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা, সেটা আরও গতিময় হবে। দেশের ভবিষ্যৎও সুসংহত হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্য, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এ নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। এখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। আজ তারা হরতাল-অবরোধ দিলেও যেখানে সেখানে যানজট হচ্ছে। দূরবর্তী যানবাহনও চলাচল করছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভাষাগত বক্তব্যে যে পরিবর্তনের কথা বলছে, সেটা তাদের আসল কথা নাও হতে পারে। কারণ বিএনপি বলে একটা করে আরেকটা। তারা সত্যি কথা বলছে এ কথা এখনোই বলার সুযোগ নেই। ৪ তারিখ পর্যন্ত তারা লিফলেট বিতরণ করবে, এরপর তাদের ভূমিকাটা কী, সেটা আমরা লক্ষ করব।’

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেতাদের কাছ থেকে পাননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন একেবারে সীমান্তে, এখন আর এসব দাবি করার সুযোগ নেই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিনা রহমানের এক বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি ভুল বলেননি। ওনাদের দর্শন, ওনাদের রাজনীতি, ওনাদের নির্বাচন যেভাবে করতেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে আছে। নির্বাচন শেষে এবং তার পরেও আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে। আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনাররা সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কমিশনাররা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করছেন। এখানে আওয়ামী লীগের চিন্তাভাবনার মিল না থাকলেও আমরা কিছু বলব না। আমাদের সঙ্গে যদি অমিলও হয়, আমরা কিছু বলব না।’

৭০ ভাগ ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা বলিনি, আপনি ভুল। আমি যেটা বলেছি, আইআরআই তাদের এক সমীক্ষায় বলেছে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ ভোটার শেখ হাসিনাকে অ্যাপ্রুভাল রেটিং যেটা সেটাতে মতামত এসেছে। এর মানে এই নয় যে ৭০ শতাংশ লোক ভোট দেবে। এ কথা আমি বলিনি। আমি বলেছি, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে।’

এ ছাড়া ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের নির্বাচনী শেষ জনসভা। আগামীকাল সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী । ১১ দেশের ৮০ পর্যবেক্ষক আসবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আগে থেকেই ঢাকায় আছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ৫০ জন বিদেশি সংবাদকর্মী এসেছেন।’ এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। আগামী ৫ তারিখ সকালে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল মতবিনিময় করবে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা