× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নতুন বছরে গণতন্ত্র ফিরবে : মঈন খান

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:১২ পিএম

আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৭ পিএম

জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. আবদুল মঈন খান। প্রবা ফটো

জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. আবদুল মঈন খান। প্রবা ফটো

শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ২০২৪ সালেই গণতন্ত্র ফিরবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর তিনি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

মঈন খান বলেন, ‘এই ভুয়া নির্বাচনের জন্য যে নাটকীয় প্রহসন হচ্ছে, সেই প্রহসনকে আমরা বর্জন করেছি এবং দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করে এই একদলীয় সরকারকে বর্জন করেছি। বুলেটের শক্তিতে নয়, পুলিশের ব্যাটনের শক্তিতে নয়, কোনো টিয়ারগ্যাসের শক্তিতে নয়, কোনো সাউন্ড গ্রেনেডের শক্তিতে শক্তিশালী হয়ে নয়; আমরা জনগণের শক্তিতে শক্তিশালী হয়ে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব, ইনশাল্লাহ। নতুন বছরে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন করে আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই, ছাত্রদলকে নিয়ে আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব; জনগণকে নিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচন একটি ভুয়া নির্বাচন। আপনারা দেখেছেন এই নির্বাচন সরকার করতে গিয়ে তারা সবকিছু হযবরল করে ফেলেছে। শুধু তারা নিজেদের প্রার্থীদের নয়, জোটের প্রার্থী এবং তাদের গৃহপালিত বিরোধী দলের প্রার্থীরা তারাই আজকে এই নির্বাচনের সমালোচনা করছেন। আমাদের কোনো কিছু বলার প্রয়োজন নাই।’

‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, এই নির্বাচন সরকার ইতোমধ্যে করে ফেলেছে। ঢাকায় বসে কে কোন সিটে এমপি হবে, এটা ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে। কাজেই এই নির্বাচন একটি ভুয়া নির্বাচন। এই নির্বাচনে জনগণের কোনো প্রতিনিধি এমপি হবে না। এমপি হবে সিলেকশনে, ইলেকশনে নয়। ৭ তারিখে তারা (নির্বাচন কমিশন) যেটা করবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে। আজকে ৭ তারিখ সম্পূর্ণ অর্থহীন হয়ে গেছে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেন। সোমবার দলটি ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বর্তমানে বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

পুলিশি নিরাপত্তায় ছাত্রদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে প্রবেশের সুযোগ পান। এ সময় তারা ‘শুভ শুভ শুভ দিন, ছাত্রদলের জন্মদিন’, ‘আজকের এই দিনে জিয়া তোমায় মনে পড়ে’, ‘দেশ গড়েছেন শহীদ জিয়া, ‘লাল সবুজের পতাকায় জিয়া তোমায় দেখা যায়’ নেত্রী মোদের খালেদা জিয়া’ নানা স্লোগান দেন।

মঈন খান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের ওপর কীভাবে ক্র্যাকডাউন করেছে। আজকে বহু নেতাকর্মীকে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার করে জেলে আটকে রেখেছে। আজকে ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারিকে ভুয়া মামলা দিয়েছে, তারা আজকে এখানে আসতে পারেনি। তার প্রতিনিধি এখানে আমার পাশে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্ররা নিজের জীবনের পরোয়া করে না। এই বাংলাদেশ ও পূর্ববর্তী পাকিস্তানের ইতিহাস যদি আপনারা বিশ্লেষণ করে দেখেন, পাকিস্তানের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ’৬২ সালে প্রথম প্রতিবাদ করেছেন এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে নেমেছেন। ইনশাল্লাহ আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের সংগ্রামে বিজয়ী হব।’

রাজধানীতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর বিএনপি, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রবাহে ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আসতে পারেননি। ছাত্রদলের সহসভাপতি তানজিল হাসান, শেখ আল ফয়সাল, সাইফুজ্জামান, নিজাম উদ্দিন রিপন, করিম প্রধান রনি, এবিএম মাহমুদ সরদার, সাখাওয়াত হোসেন, সাইফুল ইসলাম তুহিন এই অনুষ্ঠানে ছিলেন।

কর্মসূচি

সারা দেশে ছাত্রদলের বর্ণাঢ্য র‌্যালি এবং বিকালে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

‘একতরফা নির্বাচন বর্জনই নতুন বছরের শপথ’

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট বর্জনে জনমত গঠনে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নতুন বছরের বার্তা একটাই… বাংলাদেশে একদলীয় সরকারের অধীনে একদলীয় নির্বাচন বর্জনে যে আহ্বান বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য ২০২৪ সালের পহেলা জানুয়ারি আমরা শপথ নিচ্ছি এই নির্বাচন বর্জন করব। এই বর্জনের বার্তা আমরা সারা দেশে জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। সবাইকে বলছি, নির্বাচন বর্জন করুন, ঘরে থাকুন, ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে লিফলেট বিতরণের সপ্তম দিনে আমরা বলতে চাই- বাংলাদেশের মানুষ এই একতরফা নির্বাচন গ্রহণ করবে না, বর্জন করবে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচন গ্রহণ করবে না।’

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সহসভাপতি আবদুল হালিম মিঞা প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

‘এটা ভোট নয়, এটা নাটক’

যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘এই একটি প্রহসনের নির্বাচন, এটি কোনো নির্বাচনই নয়, একটি নাটক। এটা আড়াল করা যাবে না। আপনারা দেখেন সরকার বলে বেড়াচ্ছে- নির্বাচন খুব অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে কী অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে সেটা দেশবাসী যেমন দেখছে, সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো জানে… তাদের কাছে তথ্য আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (সরকারি দল) নিজের দলের মধ্যে ভাগাভাগি করে আসন বিলি বণ্টন করে একটা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করছে। তারা বিধবা ভাতা, সামাজিক সুরক্ষা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বলছে, ভোটকেন্দ্রে আস তাহলে কার্ড পাবে, নইলে ভাতা বন্ধ করে দেব। এই হচ্ছে সরকারের নির্বাচনের চালচিত্র। এটাকে আপনি নির্বাচন বলবেন কীভাবে? জনগণ এই ভোট বর্জন করেছে, তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না।’

নিতাই রায় চৌধুরী সেগুনবাগিচায় পথচারীদের মধ্যে ভোট বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ করেন।  এ সময়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মহসিন মোল্লা, কামাল আনোয়ার, শাহ আলম চৌধুরী, আবদুল জাব্বার খান, কামরুজ্জামান জুয়েলসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

‘৭ জানুয়ারি ওরা গণতন্ত্রকে দাফন করতে চায়’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল করিব রিজভী সকালে ১০/১৫ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে কাফরুল এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এখন তারা ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে দাফন করতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওদের সেই স্বপ্ন সফল হবে না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটাররা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না, তারা ভোট বর্জন করবেই।’

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, জাকির হোসেনসহ স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা