× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শমসের মবিন ও তৈমূরকে খুঁজে পাচ্ছেন না প্রার্থীরা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:০১ এএম

আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪৯ এএম

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী, নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা ও মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন দলের হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৬০ প্রার্থী। তাদের অভিযোগÑ দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব তাদেরকে নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে দিয়ে এখন আর খোঁজ রাখছেন না। কেউ কেউ তাদেরকে ‘জাতীয় বেইমান’ আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি দলের তহবিল থেকে টাকা তছরুপেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, তারা বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে তৃণমূল বিএনপির সব প্রার্থীকে সরিয়ে এনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ করেন। ‘তৃণমূল বিএনপির সব প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের কো-চেয়ারপারসন কে এ জাহাঙ্গীর মাজমাদার এবং সভাপতি হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তারা আসেননি। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-১৫ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী খন্দকার এমদাদুল হক ওরফে সেলিম। নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির ১৩৭ জন প্রার্থী আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন ও মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। আমাদের সুবিধা-অসুবিধা, কীভাবে আমরা নির্বাচন করছি, আমাদের কী প্রয়োজন, সে ব্যাপারে কোনো খোঁজখবর রাখছেন না।’

দলের শীর্ষ দুই নেতা সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থী দিলে তৃণমূল বিএনপি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে পারত এবং অন্তত ১০০ আসন নিয়ে সংসদে বিরোধী দল হতে পারত বলে মন্তব্য করেন খন্দকার এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘ওই দুই জাতীয় বেইমানের কারণে এটা হয়নি। তারা তৃণমূল বিএনপির যে অবস্থা করেছেন, তাতে আমরা কষ্ট পাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমরা আমাদের দলের বিষয়ে আলোচনা করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, আমরা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। বিদেশিদের ও বিএনপির ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমরা জনগণের পাশে থাকতে চাই। কিন্তু আমাদের অবস্থা কী? শমসের ও তৈমুরের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের মুখে এক কথা, অন্তরে আরেক কথা।’

যশোর-৫ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘দেশে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি এবং করছি, তাতে বাধা তৈরি করেছেন দুই বেইমান শমসের মুবিন ও তৈমূর আলম। নজিরবিহীন অসমন্বয় করে আমাদের উলঙ্গ করে তাঁরা মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন।’

শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দলের তহবিল থেকে টাকা তছরুপ করে আমাদের উলঙ্গ করে নির্বাচনী মাঠে যে তামাশা করছেন, জাতির কাছে তার হিসাব দিতে হবে।’

দলের দুই শীর্ষ নেতাকে ‘যুগশ্রেষ্ঠ মীর জাফর’ আখ্যায়িত করে নেত্রকোনা-৫ আসনের প্রার্থী আবদুল ওয়াহাব হামিদী বলেন, তারা যেকোনো মূল্যে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অভিভাবকত্বমূলক সহযোগিতা চান তিনি।

দলের শীর্ষ দুই নেতা বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করেছেন বলে অভিযোগ করেন গোপালগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী জামাল উদ্দিন শেখ। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিএনপির কুমিল্লা-২ আসনের প্রার্থী মাইন উদ্দিন, বরগুনা-১ আসনের প্রার্থী ইউনুস সোহাগ, ময়মনসিংহ-৪ আসনের প্রার্থী দীপক চন্দ্র গুপ্ত, ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী কাজী সিরাজুল ইসলাম, নেত্রকোনা-৪ আসনের প্রার্থী আল মামুন প্রমুখ। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অনুষ্ঠানের সভাপতি খন্দকার এমদাদুল হক বলেন, ‘শমসের মুবিন ও তৈমুর আলমের আচরণে মনে হচ্ছে, তারা পরোক্ষভাবে আমাদের নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলছেন। আমাদের আলোচনার জন্য ঢাকায় ডেকে নিয়ে এসে ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গুলশানে আমাদের বসিয়ে রেখেছেন। চার দিন ধরেই আমাদের ঢাকায় বসিয়ে রাখা হয়েছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা