সরকারের প্রতি গণতন্ত্র মঞ্চ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:১৭ পিএম
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪৩ পিএম
সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ আহ্বান জানান মঞ্চের নেতারা।
তারা বলেন, ৭ তারিখে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে এর ফলাফল কী হবে, তা সবার জানা। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তাও জানা। বিরোধী দল কে হবে, তাও সবাই আগাম জানে। তাহলে এই নির্বাচেনের দরকারটা কী? দেড় থেকে ২ হাজার কোটি টাকা কেন খরচ করা? এটা অপচয়। রাষ্ট্রীয় পয়সা অবচয় করা পরিষ্কার অপরাধ।’
নেতারা সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, এখনও সময় আছে অবিলম্বে এই একতরফা নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিন। সংবিধানের ১২৩ (৩) (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তা না করলে গণ-আন্দোলনের মুখেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। আগের স্বৈরাচারীদের মতোই পরিণতি বরণ করতে হবে এই সরকারকে।
নেতারা বলেন, এই একতরফা তামাশার পাতানো নির্বাচন দেশের জন্য বিপজ্জনক ভবিষ্যৎ ডেকে আনছে। তারপরও সরকার এই পাতানো নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। সমাবেশে ব্ক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী। উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক মুহিদুজ্জামান মুহিত, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পথচারীদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ ছাড়া ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও অন্য কয়েকটি দল মিলে তোপখানা রোড ও বিজয়নগর সড়কে বিক্ষোভ-মিছিল করে।
আগামী মঙ্গল ও বুধবার ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচারপত্র বিতরণ, গণসংযোগ ও সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।