শারীরিক অবস্থার অবনতি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:১০ পিএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৪১ পিএম
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ২৬ অক্টোবর সফল অস্ত্রোপচারের পর থেকে কিছুটা ভালো ছিলেন খালেদা জিয়া। তার ফুসফুসে পানি ও পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিসটেমিক সান্ট (‘টিপস’) করতে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেন হামিদ আহমেদ আবদুর রব, জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন ও ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রফেসর ডা. হামিদ রব জনস হপকিন্সের কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। এতে তার আগের সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছিল।
৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। অস্ত্রোপচারের আগের আড়াই মাসে তাকে কয়েক দফা সিসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার পেটে পানি জমা হওয়ায় সিসিইউতে নিয়ে পানি অপসারণ করতে হয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত হন। তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তাতে সায় না দিয়ে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে শর্তে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে এখন তাকে বিদেশে যেতে দেওয়ার আইনি সুযোগ নেই। বিদেশে যেতে চাইলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।