প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৭ পিএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৮ পিএম
শিল্পকলা একাডেমিতে মায়ের কান্না ও অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাত সংগঠনের আলোচনা সভা। প্রবা ফটো
রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশ সদস্য আমিরুল হক পারভেজ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তার স্ত্রী রুমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘কি দোষ ছিল আমার স্বামীর। সে তো কোনো রাজনীতি করত না মিছিল মিটিং করত না। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেছিল। তাহলে বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা কেন তাকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করল।’
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মায়ের কান্না ও অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাত’ সংগঠনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন- যারা আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। তাদের আমি দ্বিগুণ শাস্তি চাই।’
রুমা আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়েটা চাতক পাখির মতো অধীর আগ্রহে বসে থাকে তার বাবা কখন বাড়ি ফিরে আসবে। মেয়েকে কেউ টাকা দিলে সে টাকা সে জমিয়ে রাখে। আমার সাত বছরের সন্তান তানহা ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে— আমি টাকা জমাচ্ছি, আল্লাহর কাছ থেকে বাবাকে কিনে আনব তাই। মেয়ের খুব শখ বড় হয়ে বাবার মতো পুলিশ হবে। আমার মেয়ে বলে বড় হয়ে পুলিশ হয়ে বাবা হত্যার বিচার করবে সে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির অবরোধ চলাকালীন রাজধানীর ডেমরা এলাকায় অছিম পরিবহনের বাসে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে মারা যাওয়া চালকের সহযোগী নাঈমের পরিবার তার মৃত্যুর জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে। পরিবারের সদস্যরা একমাত্র উপার্যনকারী ছেলে নাঈমের হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য তারানা হালিম, বিএনপি জামাতের কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে অগ্নিকাণ্ডে আহত নিহতদের পরিবারের সদস্যরা, ২০১৩-১৪-১৫ সালের আন্দোলনের সময় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত্র পরিবারের সদস্য, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত শাসন আমলের সময় নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্য ও ১৯৭৭ সালে হত্যা ও গুমের শিকার সামরিক বাহিনীর পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।