প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৩০ পিএম
গণদাবি ও জনমত উপেক্ষা করে সরকার ফের একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের সামনে সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। সমাবেশ থেকে সিপিবি এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
সমাবেশে নেতারা বলেন, একতরফা তকমা ঘোচাতে বিভিন্ন দল ও ব্যক্তিকে নির্বাচনে অংশ নিতে নানা অপকৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এসব কাজকর্ম যে এক কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হচ্ছে, তা গোপন থাকছে না। এ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করবে না। বরং দেশ ও দেশের মানুষ নতুন সংকটে পড়বে। সরকারের স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা বাড়বে। অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হবে। এ সুযোগে সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের ওপর আরও হস্তক্ষেপ বাড়াবে। অন্ধকারের অপশক্তি অগণতান্ত্রিক অবস্থা তৈরির প্রচেষ্টা নেবে যা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশে কাম্য নয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পার্টি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
সভাপতির বক্তব্যে শাহ আলম বলেন, রাষ্ট্র এবং সরকার একাকার হয়ে গেছে। আমাদের দেশের নব্বই ভাগ মানুষ দলীয় সরকারের অধীনে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে বলে মনে করে না। সরকার দেশকে আজ পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভোটে জিতবে না জেনে সরকার নানা বাহানা তৈরি করছে। মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। অবিলম্বে প্রহসনের নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। কিন্তু নির্বাচনের নামে ভুয়া, অবৈধ, প্রসনের নির্বাচন চাই না। কমিউনিস্ট পার্টি দেশবাসীকে সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্রের নির্বাচন রুখে দিবে। দেশের বর্তমানে যে সংকট চলছে তার জন্য দায়ী বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। তারা বলে, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার। অর্থাৎ তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে চায়। বাংলার জনগণ তা মেনে নেবে না।