প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৫ এএম
আফরোজা আব্বাস। ছবি : সংগৃহীত
কারাগারে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পালিয়ে যেতে পুলিশ সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আফরোজা আব্বাস।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও মহিলা দলের এই সভানেত্রী।
তবে আফরোজা আব্বাসের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। এখানে পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘দারোয়ান বলল, কালো পোশাক ও হেলমেট পরে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। বাসার বাইরে পুলিশের তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। হামলাকারীদের ধরার জন্য দারোয়ান পুলিশকে বলল। পুলিশ তাদের না ধরে মোটরসাইকেলে করে চলে গেছে। আমার মনে হয়েছে, হামলাকারীদের স্কট করে পালিয়ে যেতে সহায়তা করল।’
সরকারদলীয় লোকজন মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে দাবি করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি, ওদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনারা। ওদের সামনে থাকেন আপনারা, পেছনে থাকেন আপনারা। আজকে যারা হামলা করল, তারা অবশ্যই সরকারদলীয় লোকজন। প্রশাসনের সহায়তায় এ হামলা করেছে।
গতকাল সোমবার সারা রাত বাসার আশপাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ঘোরাঘুরি করেছে বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তারা সাংবাদিক পরিচয়ে ঘোরাফেরা করেছে। সিসি ক্যামেরা আছে। বাসায়ও আছে, রাস্তায়ও আছে। কিন্তু এটার জন্য হয়তো আমাদের ছেলেদের (ছাত্রদল-যুবদল) দোষারোপ করা হবে।’
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়ে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী বলেন, ‘এর আগেও বাসায় হামলা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে এমন তাণ্ডব চালিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’
এ হামলার ঘটনায় দেশবাসীর কাছে, বিশ্ববাসীর কাছে বিচার চান তিনি।
এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না, জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আরে ভাই মামলা তো নেয় না। এর আগেও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি। আদালতও মামলা নেয়নি। এ সরকার থাকলে কোনো দিন ন্যায়বিচার পাব না।’
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় করা মামলায় ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মির্জা আব্বাস। তিনি এখন কারাগারে।