প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৬ পিএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৮ পিএম
সমমনা ছয়টি ইসলামপন্থি দলের বৈঠক। সংগৃহীত ফটো
নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা না করে তফসিল ঘোষণা না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সমমনা ছয়টি ইসলামপন্থি দল।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা থেকে এ আহ্বান জানান দলগুলোর নেতারা।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল আগামীকাল বুধবার ঘোষণা হতে পারে। এ প্রসঙ্গে সমমনা ছয় ইসলামপন্থি দলের নেতারা বলেন, ‘রাজনৈতিক দল ও জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে জাতি তা মেনে নেবে না।’
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি না মেনে তফসিল ঘোষণা করা হলে সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার করা হবে বলেও জানান তারা।
গত সপ্তাহেই এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে ছয় দলীয় রাজনৈতিক মোর্চা ‘সমমনা ইসলামি দলগুলো’ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) তফসিল ঘোষণা না করার আহ্বান জানিয়েছিল। এই জোটের শরিকরা হলো— বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, মুসলিম লীগ (বদরুদ্দোজা আহমেদ-কাজী আবুল খায়ের), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও বাংলাদেশ নেজামী ইসলাম পার্টি। এর মধ্যে চারটি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। এর মধ্যে চারটি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস এক সময় বিএনপির সঙ্গে জোটে ছিল। বিভিন্ন সময়ে তারা জোট থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র অবস্থান নেয়।
মঙ্গলবারের বৈঠকেও সমমনা ইসলামী দলগুলোর নেতারা মত প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া তড়িঘড়ি তফসিল ঘোষণা হবে জাতির সঙ্গে তামাশার শামিল। এ তামাশা বন্ধ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। দেশে চলমান সংঘাত-সহিংসতার একমাত্র সমাধান হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু সরকার জনগণের এ দাবির তোয়াক্কা না করে একতরফা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এতে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে।
তারা বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। শক্তি প্রয়োগ করে, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, জেল, জুলুমের মাধ্যমে বিরোধীকণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। এর মধ্য দিয়ে দেশকে অনাকাঙ্ক্ষিত অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আলেম-ওলামাসহ সাধারণ মানুষও হয়রানির শিকার হচ্ছে।
সমমনা ইসলামী দলগুলোর নেতারা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার বন্ধ ও মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমীসহ সব আলেম-উলামা ও কারাবন্দি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
সমমনা ইসলামী দলগুলোর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, বাংলাদেশে খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, নেজামে ইসলাম পার্টির প্রচার সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসুদ, খেলাফত মজলিসের প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক প্রমুখ।