প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:২৬ পিএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৫ পিএম
প্রবা ফটো
বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুইপাশে রাখা লোহার ব্যারিকেড (রোডব্লক) সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে এই ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে গতকাল রাতেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এরপরই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে লোহার ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হলো।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যারিকেড সরানো হলেও দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখনও তালাবদ্ধ রয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যও মোতায়েন রয়েছে। অবশ্য এই মুহূর্তে বিএনপি কার্যালয়ের ঠিক সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য নেই। তারা কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ভিক্টরি হোটেলের গলিতে এবং শ্রিংলা ইন রেস্টুরেন্টের সামনে অবস্থান করছেন।
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশের কলাপসিবল গেট বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। তখন থেকেই কার্যালয় কার্যত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বিএনপি কার্যালয় ও এর আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। পর্যায়ক্রমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান করছেন। এ ছাড়া গত ৮/১০ দিন আগে কার্যালয়ের সামনে লোহার ব্যারিকেড আনা হয়।
এদিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গত কয়েক দিনে দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবরোধে নাশকতায় আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ তালা মারেনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে এবং তারা এখন সেখানে আসে না। কেন আসে না- সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের পুলিশ সেখানে সবসময়ই থাকে নিরাপত্তার জন্য। মাসের ৩০ দিনই সেখানে পুলিশ প্রহরায় থাকে, একইভাবে এখনও সেখানে পুলিশ আছে।’
তিনি আরও বলেন, তারা (বিএনপি নেতাকর্মীরা) যদি এখানে আসে, অফিস খুলে কার্যক্রম চালায়- আমাদের কোনো আপত্তি নেই বা কখনোই ছিল না।