প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:০৮ পিএম
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৭ পিএম
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রবা ফটো
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না এলেও আরও অনেক রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে তফসিল অনুসারে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে যাওয়া কিংবা না যাওয়া—সেই অধিকার যেকোনো রাজনৈতিক দলের আছে। তারা নির্বাচনে যেতে পারে, না-ও যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই। নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলা মানেই দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী কথাবার্তা। যারা এমন ধরনের বক্তব্য রাখবে বা অপচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত রাখা। এজন্য যা কিছু করা দরকার, সেটা করা হবে।
দেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করে বিএনপি একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই স্বপ্ন দেখতে দেখতে তাদের ১৫ বছর কেটেছে। আগামী কত বছর কাটবে, জানি না। আমরা চাই, তারা নির্বাচনে আসুক। জনপ্রিয়তার যে দাবি তারা করেন, সেটা যাচাই করুক। তাদের এতো উদ্যমী কর্মী, যেগুলো ২০ মিনিটে ময়দান ছেড়ে চলে যায়, তারা কতটুকু নামে আমরা একটু দেখব। তাদের এতো জাঁদরেল জাঁদরেল নেতা, পুলিশের মাত্র আওয়াজে—কোনো গুলি হয়নি, কাঁদানে গ্যাসও না—ছোটোবেলায় যে বাজি ফোটাতাম, সেই বাজির আওয়াজে মঞ্চ ছেড়ে চলে গেছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নির্বাচনে আসুক, এসে দেখুক, তাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু। তাদের কর্মীরা কতটুকু নামে, নেতাদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখে। আমরা তাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে চাই। আর নির্বাচনের অপেক্ষা আমরা করতে পারি না। নির্বাচনের আয়োজক নির্বাচন কমিশন। সেখানে একটি শিডিউল থাকবে, সেই অনুসারে নির্বাচন হবে। সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন হলে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে।
যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে, তাহলে কী হবে, প্রশ্নে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে নির্বাচন হতে হবে, কোনো একটি দল না এলে আরও অনেক দল আসবে। নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টু প্লাস টু বৈঠক করেছে ভারত। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী - প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই বৈঠক ছিল একান্তই দ্বিপক্ষীয়। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, সেটা পত্রপত্রিকায় এসেছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ও উন্নয়ন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত যেটি বলেছে, সেটি যথার্থ বলেছে। কাজেই বাংলাদেশের নির্বাচন ও উন্নয়ন এ বিষয়ে এ দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচনের মাধ্যমে কে ক্ষমতায় আসবে, তাও বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশে চিকিৎসার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের হাতে নেই, এটা তো আইনের হাতে, আদালতের হাতে। সরকার চাইলেও তাকে মুক্তি দিতে পারবে না। সরকারের হাতে যতটুকু ক্ষমতা ছিল, তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে ঘরে মুক্ত থাকার ব্যবস্থা করা, সেটা সরকার করে দিয়েছে।