জাতীয় সরকারে অনড় ইসলামী আন্দোলন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৬ পিএম
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৫ পিএম
পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চার দফা কর্মসূচি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। প্রবা ফটো
নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠনের দাবিতে অনড় রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এজন্য সংলাপের আয়োজন করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে দলটি। তফসিল ঘোষণার আগে দাবি আদায় না হলে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল ও সারা দেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে তারা।
রবিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজি সংবাদ সম্মেলন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
চার দফা –
চলতি সংসদ ভেঙে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে; রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার বিরোধী দলের সব নেতাকর্মী এবং ওলামায়ে কেরামকে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন করতে হবে; দলান্ধ এই নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করতে হবে; রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এবং সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির আগে কোনো অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।
কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে চরমোনাই পীর রেজাউল করিম বলেন, ‘একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর দিন সারা দেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল। বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ সব কর্মসূচিতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। জাতীয় সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচির করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কর্যকর করা যায়নি। এ কারণে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সার্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার সুফলও জাতি পেয়েছে।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘বর্তমান কমিশন লজ্জা, বিবেক ও মেরুদণ্ডহীণতার সাপেক্ষে অতীতের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা তফসিল ঘোষণার জন্য এগোচ্ছে। জনপ্রশাসন জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো দলের হয় না। এমনকি কোনো সরকারেরও হয় না। তারা হয় রাষ্ট্রের। তারা সরকারের অধীনে কাজ করে বটে, তবে নিজেদের সততা, নীতি ও আদর্শ দিয়ে সর্বদা জনতার স্বার্থেই তারা কাজ করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা এক হতাশাজনক চিত্র দেখতে পাচ্ছি। তারা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের অন্যায় নির্দেশ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।