প্রবা প্রতিবদেক
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৯ পিএম
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৮ পিএম
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি : সংগৃহীত
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ঢাকা শহরের সড়কের উন্নয়ন হলেও এই শহরে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বাড়েনি। রাজনৈতিক কায়েমি স্বার্থে একের পর এক আইন তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু সড়কে আইন মানা হচ্ছে না।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর হাতিরপুলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের জাতীয় পরিষদের সদস্য আরিফুল ইসলাম আরিফ ও ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক নেতা সৌভিক করিম অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিচার চেয়েছেন তার সহকর্মীরা। এর আগে ৭ নভেম্বর রাতে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর ইস্কাটন রোডে ট্রাকচাপায় মারা যান আরিফ ও অর্জুন। পরদিন আজিমপুর কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, আরিফ ও অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। তবে এটি যে কাঠামোগত হত্যকাণ্ড তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তাদের মৃত্যুর ধরণ আমাদের ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। আমরা এই ঘটনাসহ সড়কে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার তদন্ত ও বিচার চাই। সড়ক দুর্ঘটনায় নিয়মিত প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, অথচ এ নিয়ে কারও জন্য কোনো বিকার নেই।
তিনি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, সড়ক ও সেতুর নাজুক অবস্থা, অধিক মুনাফার লোভে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা ও চালকদের অতিরিক্ত কাজ করানোর ফলে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এছাড়া সড়কপথে দুর্ঘটনার বড় কারণ অতিরিক্ত গতি, ওভারলোড, ওভারটেক ও ঢাকা শহরে গভীর রাতে ট্রাফিক পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
তিনি বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলেও এখনও দায়ী ট্রাকচালককে আটকের খবর আমরা পাইনি। আমরা দ্রুত চালককে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাই।
আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্পাদ সেলিমুজ্জামান, যুব ফেডারেশনের আহ্বায়ক উৎসব মোসাদ্দেক, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জুলহাসনাইন বাবু।