বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ২০:১৬ পিএম
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৮ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে স্লোগান একাত্তর আয়োজিত ‘জেলহত্যা দিবস ও জাতীয় চারনেতা স্মরণে’ আলোচনা সভায় মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রবা ফটো
পঁচাত্তরের মতো এখনও একটি পরাশক্তি দেশের রাষ্ট্রদূত ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
রবিবার (৬ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে স্লোগান একাত্তর আয়োজিত ‘জেলহত্যা দিবস ও জাতীয় চারনেতা স্মরণে’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আজকে একটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে দেখছি। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও যান। নির্বাচন কমিশনে কয়েকবার গিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যান এবং বিভিন্ন ব্যক্তিদের বাড়িতে দাওয়াত খান। তখন আমার দৃশ্যপটে ভেসে উঠে ১৯৭৫ সালের সেই নির্মম ঘটনার কথা। কারণ ওই ঘটনার আগে এই পরাশক্তির তৎকালীন রাষ্ট্রদূতও এ রকম দৌড়াদৌড়ি এবং ষড়যন্ত্রে মধ্যে লিপ্ত ছিলেন। তার সঙ্গে তখন খুনিচক্রের বৈঠক হয়েছিল এবং সেখান থেকে মেসেজ দেওয়া হয়েছিল তোমরা এগিয়ে যাও আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। তাদের দেওয়া এই সাহসের কারণেই জাতির পিতাকে ৩২ নম্বরের বাড়ির সিঁড়িতে লাশ হতে হয়েছিল। আর এর কিছু দিন পরেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন এলে বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করতে চায় এই পরাশক্তিরা। নানা রকম ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে চায় এবং বুনে যাচ্ছে। যারা মনে করছে তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ও তাদের কথা অনুযায়ী নির্বাচন করতে হবে; আমরা সেটাতে বিশ্বাসী নই। আমরা তো বলেছি যে, নির্বাচন ভারতে যেভাবে হয়, ইংল্যান্ডে যেভাবে হয়- ঠিক সেভাবেই বাংলাদেশের নির্বাচন হবে। যদি কোন দল নির্বাচনে না আসে? তাহলে আমাদের কী করার আছে?’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. জাকিয়া নূর লিপি, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা শারমিন আহমেদ রিপি। আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এম. আমজাদ ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন- ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।