প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০৮ পিএম
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৫৩ পিএম
সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ছবি : আলী হোসেন মিন্টু
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সকল নিবন্ধিত ও প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর দলটির উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে দলটির বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী ও অনুসারীরা অংশ নেন।
কারাবন্দি রাজনীতিকদের মুক্তি ও জাতীয় সংলাপের দাবি জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সকল শীর্ষ নেতাকে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
ঘোষিত দাবি মানা না হলে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার করা হবে বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে তিনি ‘জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সকল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ঘোষণা’ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের দাবি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যারা এই ন্যায্য দাবির বিরোধিতা করবে তারা এ দেশের শত্রু।’
শেখ হাসিনার উদ্দেশে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ’আপনি বলেন আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে। ঐতিহাসিক এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে আপনার আব্বা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। আজ ৩ নভেম্বর সরকারের মেয়াদের শেষ দিনে আমি ঘোষণা করছি, জাতীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন না করলে এই নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ সরকারের করা অবৈধ সংবিধানের দোহাই দিয়ে মানুষ হত্যা করবে আর আমরা তা চেয়ে দেখব তা হবে না।’
ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে চরমোনাই পীর বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যেভাবে মা-বোনদের হত্যা করা হয়েছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফরিদ উদ্দীন আল মোবারক, মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ প্রমুখ।