বিএনপি মহাসচিবকে ইসির চিঠি, কার্যালয় তালাবদ্ধ পেয়ে ফেরত গেছেন বার্তাবাহক

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠি গ্রহণ করেনি বিএনপি। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও কেউ চিঠি গ্রহণ করতে না আসায় ফেরত চলে যান ইসির সেই বার্তাবাহক।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ইসির প্রতিনিধি চিঠি নিয়ে এলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ দেখে অপেক্ষা করেন তিনি। 

একটি সূত্র জানায়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন নেতাদের ফোন করেও চিঠি দিতে পারেনি ইসির সেই বার্তাবাহক।

বৃহস্পতিবার সকালে কমিশন ওই চিঠিটি পাঠায় বিএনপির নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার পর বার্তাবাহক চলে যান। পরে ইসি থেকে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা হলে, তারা সাফ জানিয়ে দেন- এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের কোনো চিঠি বা আমন্ত্রণ বিএনপি গ্রহণ করবে না।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘাতের পর সেদিন রাত ১০টা থেকে তালাবদ্ধ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। প্রথমে কার্যালয়টি সিআইডির ক্রাইম সিন টিম টেপ দিয়ে ঘিরে রাখার দুই দিন পর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও তালাবদ্ধ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়।

চিঠি গ্রহণের বিষয়ে তাৎক্ষণিক জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকার ২৮ অক্টোবর পরিকল্পিভাবে হামলা চালিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। গ্রেপ্তার আতঙ্ক, জুজুর ভয়ে কেউ অফিসে যেতে পারছে না। অফিসের সহকারীরা যাচ্ছে না পুলিশ অবরোধ করে রাখার কারণে। আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে। অনেক নেতাই এখন জেলে, না হয় গ্রেপ্তার আতঙ্ক নিয়ে বাড়ি ছাড়া।’

তাহলে এই মুহূর্তে ইসির প্রতিনিধির মাধ্যমে পাঠানো চিঠিটি বিএনপি কী করে গ্রহণ করবে- এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির এই মুখপাত্র।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘাতের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। গ্রেপ্তার আতঙ্ক, জুজুর ভয়ে কেউ অফিসে আসেন না। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অনেক নেতাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।