সংলাপ নিয়ে পিটার হাসের বক্তব্য
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০০ পিএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ২২:২৭ পিএম
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : সংগৃহীত
রাজনৈতিক সংলাপ নিয়ে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ’বাংলাদেশে কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা উচিত এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে এবং রাজনীতি করার জন্য রাজনৈতিক দলে পরিণত হওয়া উচিত।’
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে নির্বাচন কমিশনে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দলগুলোকে শর্তহীন সংলাপে বসার পরামর্শ দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের এমন আহ্বান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রায় মনে করি, কোনো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এ দেশে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া উচিত। রেজিস্ট্রেশনের জন্য তাদের অ্যাপ্লাই করা উচিত। তারা একটা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান করবে এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা রাজনৈতিক অবস্থান নেবে। তারা একটা দল করুক, আর দেখা যাক জনগণের কাছে তারা কত ভোট পায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দিক বা না দিক, এটা আমাদের কাছে কোনো ম্যাটার করে না। আমরা আমাদের দেশ পরিচালনা করব। এগুলো নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
বিএনপির ‘বর্বরতা ও ধ্বংসযজ্ঞ’ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ’এটা তাদের দলের জন্য লজ্জাজনক এবং পুলিশ, হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা উচিত। দলের সদস্যদের করা এসব অপকর্মের জন্য তাদের (বিএনপি) প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়া উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ’দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার কারণে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিএনপির হরতাল ও অবরোধে সারা দেশে মোট ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (বা ১৯২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বা প্রতিদিন জিডিপির শূন্য দশমিক ২ শতাংশ খরচ হয়েছে।‘
মহাসমাবেশের নামে বিএনপির সহিংসতার তথ্য-প্রমাণসহ বিদেশি দূতদের অবহিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব ঘটনায় কেবল রাজনীতি নয়, পুরো দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ’তারা বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করার জন্য এসব করছে। তাদের উদ্দেশ্য মহৎ নয়। কারণ দেশটা তো আমাদের সবার। দেশের বদনাম হলে সবার ক্ষতি হবে।’ তারা এই ব্যাপারটা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করে না বলে মনে করেন তিনি।