পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২

বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার মামলায় দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে গাইবান্ধা ও ঢাকার ডেমরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের প্রধান উপকমিশনার ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে রবিবার সকালে রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন, গাইবান্ধা পলাশবাড়ি উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক শামীম রেজা ও ঢাকার ডেমরা এলাকার মো. সুলতান।  

এদিকে দায়িত্বরত অবস্থায় গতকাল শনিবার নিহত আমিরুল ইসলামের জানাজা রবিবার জোহরের নামাজের পর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন-৩ এ কর্মরত ছিলেন।

জানাজায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত আইজিপিরা, ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা, মরহুমের সহকর্মীরা এবং আত্মীয়-স্বজন অংশগ্রহণ করেন।

জানাজা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নেতারা, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক নেতারা মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল  মরহুমকে ফিউনারেল গার্ড প্রদান করেন।

মরহুমের মরদেহ পুলিশ এস্কটসহ তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার চরকাটারী গ্রামে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।

আইজিপির শোক 

কনস্টেবল আমিরুল ইসলামের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

এক শোক বার্তায় আইজিপি বলেন, আমিরুল ইসলাম একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, পেশাদার, কর্তব্যনিষ্ঠ ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।

আইজিপি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।