প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৫২ পিএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন উল্লেখ করে অবিলম্বে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ২৩ বিশিষ্ট নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তারা।
বিএনপি মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিবৃতিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক আসিফ নজরুল ই-মেইল কারে গণমাধ্যমে পাঠানোর কথা বলেছেন।
গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত সোমবার বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, বেগম খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকার পরও বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তার চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত ডাক্তারা জানিয়েছেন- জীবন বাঁচানোর জন্য তাকে অনতিবিলম্বে বিদেশে পাঠানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এ দেশে কোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও রাজনৈতিক দলের নেতাকে বিদেশে চিকিৎসায় পাঠানোর নজির রয়েছে। গণমাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরাও খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর পেছনে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নাগরিকদের জীবনের অধিকার সব রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এটি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতে প্রতিফলিত হয়নি। যেহেতু চিকিৎসকদের মতে খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে তাকে অনতিবিলম্বে বিদেশ পাঠানো অত্যাবশ্যক এবং আইনজীবীদের মতেও তাকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব, তাই এ বিষয়ে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পুনর্বিবেচনা করা এবং চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে অনতিবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। সরকার এ ধরনের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি না দেখালে তা শুধু খালেদা জিয়ার জীবনই বিপন্ন করবে না, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও নতুন বিপর্যয় সৃষ্টি করবে বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিদাতারা হলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ব্রতীর প্রধান শারমিন মুরশিদ, আইনজীবী শাহদীন মালিক, পরিবেশকর্মী রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, অধ্যাপক সি আর আবরার, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক স্বপন আদনান, অধ্যাপক হেলাল মহিউদ্দীন, মানবাধিকার কর্মী শিরিন হক, নূর খান লিটন, রেহনুমা আহমেদ, হানা শামস আহমেদ, নারী নেত্রী ফরিদা আখতার, ডা. নায়লা জেড খান, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সংস্কৃতিকর্মী অরূপ রাহী, সাংবাদিক সায়েদা গুলরুখ ও সমাজকর্মী নাসের বখতিয়ার আহমেদ।