প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:০৪ পিএম
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:২০ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা, সমন্বয়ের কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, কম্প্রোমাইজের কোনো পথ খোলা রাখেনি বিএনপি। ডেড ইস্যু। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট, পার্লামেন্ট ডিজলভ, নির্বাচন কমিশনের সংস্কার-দাবিগুলোর কোনোটাই টেকে না।’
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাই তুলে ধরেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা হয়েছে। গেল ১৫ বছরে, অবাধ, সুষ্ঠু, নির্বাচন করতে ৮২টি সংস্কার শেখ হাসিনা সরকার করেছে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির সব অভিযোগের জবাব তাদের দেওয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশে যেসব মিথ্যাচার করে, সেসবের সত্যতা তুলে ধরা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। শুধু জবাব দেওয়া হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করছে, তারা মধ্যস্ততা করতে বসেনি। আমরা বলেছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের কথা-বার্তা ইতিবাচক বলে মনে হয়েছে ওবায়দুল কাদেরের। তিনি বলেন, ‘এই দল কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করছে, একবারও মনে হয়নি। পরিস্থিতিটা মূল্যায়ন করতে চায়। বাস্তব অবস্থা বুঝতে চায়।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি যাচাই করতে ঢাকায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সাত সদস্য। শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। তবে ওই বৈঠকে অংশ নেন ছয়জন। তারা হলেন মারিয়া চিন আব্দুল্লা, মারিও মাইত্রি, জেমি ক্যানডেন্স সাক্স স্পাইকারম্যান, আকাশ সিসাসাই কুলোরি, ডেনিয়েল মাইকেল রেইলি, জিওফ্রে পিটার ম্যাকডোনাল্ট।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ আছে, কি না জানানো হয়েছে। কোনো কনফ্লিক্ট আছে, বলে মনে হয়নি। কী ধরনের নির্বাচন চাই, জানতে চেয়েছে। কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড অ্যাডজাস্টমেন্ট করা যায় কি না?... কোনো স্পেস রাখেনি বিএনপি, ব্লক করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের অযৌক্তিক দাবি করছে।’
তিনি বলেন, ‘আরআরআইয়ের জরিপে আওয়ামী লীগের প্রতি ৭০ ভাগ জনগণের সমর্থনের কথা এসেছে। কম্প্রোমাইজের কোনো পথ খোলা রাখেনি। ডেড ইস্যু, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট, পার্লামেন্ট ডিজলভ, নির্বাচন কমিশনের সংস্কার বিষয়ে দাবিগুলোর কোনোটাই টেকে না।’
বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। কী ধরনের নির্বাচন, কীভাবে চাই, এটা তুলে ধরা হয়েছে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।