× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সরকারের শেষ সময়ে লাগামছাড়া ছাত্রলীগ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৪৪ এএম

আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩২ পিএম

সরকারের শেষ সময়ে লাগামছাড়া ছাত্রলীগ

নির্বাচনী বছরে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ। একের পর এক নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নাম। কেন্দ্রীয় কমিটির কঠোর হুঁশিয়ারি, শাস্তিমূলক পদক্ষেপ, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের নির্দেশনাÑ কিছুতেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত স্বার্থ কিংবা দ্বন্দ্বের জেরে নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হচ্ছে ছাত্রলীগ, বিব্রত হচ্ছে আওয়ামী লীগও। এদিকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ-সংঘাতে উত্তপ্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ। গত দুই দিনে দেশের অন্তত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

অথচ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। দুয়ারে কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন হলে হাতে আছে মাত্র সাড়ে তিন মাস। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এবারের নির্বাচন অন্য যেকোনো বারের চেয়ে চ্যালেঞ্জিং হবে- এ কথা বলা হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরও প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অগ্রযাত্রা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। আমার ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েরা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের কান্ডারি হবে। সেটিই তোমাদের কাছে চাই। এ সময় সংগঠনের মূলনীতি মেনে চলতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। 

কিন্তু সেই নির্দেশনার তোয়াক্কাই করেননি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে বিপর্যস্ত এই ইউনিটের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি, হলের কক্ষ দখল, ক্যাম্পাসে ভাঙচুর, কর্মকর্তাদের মারধর, শিক্ষকদের হুমকি দেওয়ার মতো একের পর এক অঘটন ঘটিয়েছেন তারা। তবে কোনো ঘটনাতেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর ফলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার আশকারা পেয়েছেন নেতাকর্মীরা। তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন করায় গত রবিবার প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশাররফ শাহকে বেধড়ক মারধর করেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। আহত মোশাররফ এখন কপালে চারটি সেলাই নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। সর্বশেষ একজন সংবাদকর্মীকে মারধরের খবর আমরা দেখেছি। এটি বিব্রতকর হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করেছি।

এ হামলার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখনও প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ঘটনার পর তিনটি হলে তল্লাশি চালিয়ে রামদা ও রড উদ্ধার করেছে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। সংবাদকর্মীর ওপর হামলার এ ঘটনায় চট্টগ্রামে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় বইছে।

রবিবার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতিকে প্রভাষক পদে নিয়োগ না দেওয়ায় উপাচার্য মো. নূরুল আলমকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে বাধা দেওয়া ও নিয়োগপ্রার্থীদের উপাচার্যের দপ্তর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের শিক্ষক নিয়োগের জন্য বোর্ডের কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল রবিবার সকালে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে নিয়োগপ্রার্থীদের বের করে ফটক আটকে দেন। এমন পরিস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করতে বাধ্য হন উপাচার্য। 

ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক পদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদিয়া আফরিনকে নিয়োগ না দেওয়ায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের নির্দেশে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। 

উপাচার্য মো. নূরুল আলম বলেন, যারা বিভাগের ভালো শিক্ষার্থী, তাদেরই নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রার্থীদের বের করে দেওয়ায় এক্সটার্নালরা উপস্থিত থাকার পরও নিয়োগ বোর্ড বসানো যায়নি। তবে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপাচার্য। 

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। বেশিরভাগ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। 

এর ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেন আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও পিছপা হননি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা শশী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রোভিসি, প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার সমালোচনা করে ফেসবুকে লাইভ করেছেন তিনি। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। 

গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে শশী বলেন, ‘আমাদের ভিসি (উপাচার্য) ওয়ান-ইলেভেনের পরীক্ষিত নেতা। এ রকম ভিসি থাকার পরও কেন আপনারা হলের নেত্রীকে কোণঠাসা করতে চাচ্ছেন? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি নেই, তাই? এই সরকারের সময়ে কি কোনো নিয়োগ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টরিয়াল বডি, প্রক্টর, ভিসি-প্রোভিসি, আপনারা তো সবাই আছেন। আপনারা কথা বলছেন না কেন? আপনারা যদি আমাদের পাশে না থাকেন, তাহলে আপনাদের নিয়োগ দেওয়াটাই শেখ হাসিনার ভুল সিদ্ধান্ত।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছিলেন রহমতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার তন্বী। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কক্ষ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা না মেনে উল্টো হলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ঐশী নামের এক ছাত্রলীগ নেত্রীর রুম সিলগালা করে হল প্রশাসন। মূলত এ নিয়েই ফেসবুকে ক্ষোভ ঝেড়েছেন শশী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের নিয়েও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় শশীর বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার রাত পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে সমালোচনার মুখে ফেসবুক থেকে নিজের লাইভ ভিডিওটি সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। 

এ তো গেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চিত্র, তৃণমূল পর্যায়ে আরও ভয়াবহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব পরিচয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাইয়ের অভিযোগে রবিবার রাতে সোনারগাঁ পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রবিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খান সাজুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোনারগাঁ থানার ওসি মাহাবুব আলম জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি এলাকার ব্যবসায়ী মো. সুজন মোবাইল ফোন নিয়ে প্রাইভেটকারে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন। সোনারগাঁর মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় পৌঁছলে গাড়ি থামিয়ে র‌্যাব পরিচয় দেন পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রবিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হাসান খান সাজুসহ ৩-৪ জন। পরে ২৮০টি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যান তারা। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৯ লাখ টাকা। এ ঘটনায় সুজনের দায়ের করা মামলায় রবিন ও সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের বিতর্কিত ছাত্রলীগকর্মী রবিন সরদারকে। স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত রবিনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। গত ৩ সেপ্টেম্বর নিজ সংগঠনের আরেক নেতা ফেরদৌসকে অপহরণ করে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তারের পর রবিবার রবিনকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। 

নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের এমন বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড দলকে বিপদে ফেলবে বলে আশঙ্কা আওয়ামী লীগের নেতাদের। এ নিয়ে কী ভাবছে ছাত্রলীগÑ জানতে চাইলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, শিক্ষার্থীরা যেন তাদের একাডেমিক কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে করতে পারেন তা সুনিশ্চিত করাও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব। সাংগঠনিক কারণে সেই পরিবেশ বিনষ্ট করার অধিকার কারও নেই। এর ব্যত্যয় ঘটলে কিংবা নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আদর্শিক অবস্থান থেকে দায়িত্বশীলতা নিয়ে রাজনীতি করেন উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এরপরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে। গুটিকয় নেতার জন্য সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে না। অপ্রীতিকর ঘটনা যারা ঘটাবে দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা