প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৭ পিএম
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০১ পিএম
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। প্রবা ফটো
সরকার এখনও আন্দোলনের কিছুই দেখেনি দাবি করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সেপ্টেম্বরের পরে অক্টোবর আসবে। অক্টোবরই হবে জালিমের পতনের মাস, স্বাধীনতার, মানবাধিকারের মাস। এই অক্টোবরে সরকারের সঙ্গে দেনা-পাওনার সকল কিছু মীমাংসা হয়ে যাবে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ এবং আমান উল্লাহ আমান, সালাউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিনসহ দলটির আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের দেশের ৫২ বছর বয়স হয়েছে। এই সময়ে আমাদের অর্জন আমেরিকার স্যাংশন ও ভিসানীতি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় থাকা অবস্থায় গতকাল ভিসানীতির কার্যক্রম চালু করেছে। কেন করেছে? কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাই। ভোটাধিকার নাই। মানবাধিকার নাই। আর এই কারণে আমেরিকা আগে স্যাংশন দিয়েছিল এখন ভিসানীতি কার্যক্রম শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে সরকারি দলের দায়িত্বশীল অনেক নেতা, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা এবং সচিবপর্যায়ের অনেকেই এই ভিসানীতির আওতায় পড়েছেন। কেন বাংলাদেশের ওপর ভিসানীতি আসবে? এটা কোনো আনন্দের সংবাদ না।’
তিনি বলেন, ‘যে দেশ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে সেই দেশে এখন গণতন্ত্র নাই, স্বাধীনতা নাই।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এই দেশ থেকে লক্ষ-হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যারা আমেরিকায় টাকা পাঠিয়েছেন, বাড়ি কিনেছেন তারা সেগুলো ভোগ করতে পারবেন না। আপনারা যে অন্যায় করেছেন, আমেরিকা-ইউরোপ আপনাদের ওপর কী করল সেটা বড় বিষয় না। কিন্তু আমাদের লজ্জা হয়। আপনারা প্রশাসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যে অপকর্ম করেছেন, বিশ্বের কাছে অপমানজনক অবস্থায় ফেলেছেন এটা কী আপনারা বুঝতে পারছেন?’
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘রাষ্ট্রের সাথে জনগণের যে চুক্তি। রাষ্ট্রকে মানুষ মানে, কর দেয় কিন্তু রাষ্ট্র এখন দানবে রূপান্তরিত হয়েছে। এ সরকার দেশের জনগণকে দেখে না, তারা মানুষের সাথে দানবের মতো আচরণ করছে। বর্তমান সরকার যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবে, তার জন্য, দেশের জন্য, মানুষের জন্য তত তাড়াতাড়ি ভালো হবে। এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় সাধারণ অধিবেশনে গিয়েছেন এক-তিন দিনের জন্য; কিন্তু শোনা যাচ্ছে সেখানে তিনি এই পুরো মাস থাকবেন। কিসের জন্য থাকবেন, কেন থাকবেন এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলা হয়নি। সরকার থেকেও সেভাবে বলা হয়নি।’
সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. ইউনুছ আলী, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ডাক্তার কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল ইসলাম রবি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুসা ফরাজী, ইউসুফ আলী মিঠু, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু, ওবায়দুর রহমান, শফিকুল ইসলাম সবুজ, মোক্তার আখন্দ প্রমুখ।