প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫২ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২০ পিএম
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা করে গণতন্ত্র মঞ্চ। প্রবা ফটো
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বলে মনে করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
তিনি সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে বলেন, ‘সংবিধানে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের কথা বলা আছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণ ভোট দেয়নি। কারচুপি, জালিয়াতি, ডলার পাচার করা এই সরকার সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এতে গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার পর পর দুইবার এমন ভোট করেছে সারা দুনিয়ার সরকার অবাক হয়ে গেছে। সরকার সরকারি গুন্ডাদের জন্য ব্যাংক-ট্রেজারি খালি করে ফেলেছে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনীতে পরিষ্কারভাবে আরও দুইবার তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা হাইকোর্টের রায় সম্পূর্ণ অমান্য করে ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করেছেন। এইভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সমস্যাটা সংবিধানের নয়, সমস্যাটা রাজনৈতিক। আগামী নির্বাচন যদি ব্যর্থ হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
জোনায়েদ সাকি সংবিধানের একাদশ অনুচ্ছেদের গণতন্ত্র ও মানবধিকারের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে সেটা নির্বাচন নয়। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা নিজেদের মতো করে সংবিধান তৈরি করে নিয়েছে এবং এটা শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তে হয়েছে।’
পঞ্চদশ সংশোধনীর বিচারিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) রায়কে বিকৃত করেছে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট দ্বারা আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো সমালোচনাকে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। এই সরকার সংবিধানের জালিয়াতি করে জনগণের সব অধিকার হরণ করেছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সংবিধানের ত্রয়োদশ ও পঞ্চদশ সংশোধনী মূলত ফরমায়েশি রায়। এর দ্বারা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল স্পিরিট হচ্ছে বহুমুখী নির্বাচন। একতরফা নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়।’