প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৭ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:০৪ পিএম
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ফোকাস বাংলা ফটো
রোডমার্চ বিএনপি নেতাদের অন্য দলে চলে যাওয়া ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বিএনপির
রোডমার্চ কর্মসূচি নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য
বিএনপি এখন রোডমার্চ দিচ্ছে, হয়তো কয়েকদিন পর আরও অন্য কর্মসূচি দেবে। এগুলো করেও বিএনপি থেকে
নেতাদের সরে যাওয়া এবং অন্য দলে যোগ দেওয়া কিংবা নতুন প্ল্যাটফর্ম করা তারা ঠেকাতে পারবে
না।’
বৃহস্পতিবার
(২১ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর
কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি
এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি কিছু দিন পরপর নানা ধরনের কর্মসূচি দেয়। কর্মসূচির মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই। কয়েকদিন হাঁটা কর্মসূচি, কয়েকদিন বসা কর্মসূচি, কয়েকদিন গণমিছিল কর্মসূচি—এগুলো গতানুগতিক। বিএনপিকে অনুরোধ জানাব—তাদের দল থেকে যে নেতারা চলে যাচ্ছে সেটি নিয়ে কিছু বলার জন্য।’
সালাহউদ্দীন
জাকীর প্রয়াণ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যখন
ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তখন সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য, সাংস্কৃতিক
অঙ্গনের জন্য বিরাট ক্ষতি। কারণ তার মতো এ রকম গুণী নির্মাতা এক দিনে তৈরি হয়নি।’
প্রয়াত
এই সংস্কৃতি-ব্যক্তিত্বের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ’’তিনি
একজন গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনীকার ছিলেন। তার প্রথম ছবি ঘুড্ডি,
যা দেশে সাড়া ফেলেছিল এবং সেই সিনেমার ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটি এখনও দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।’’
হাছান
মাহমুদ বলেন, ‘তিনি একজন সজ্জন ভদ্র মানুষ
ছিলেন। তার চলনে-বলনে কোনো বাহুল্য ছিল না, নিজেকে জাহির করার কোনো প্রবণতা তার মধ্যে
কখনও দেখিনি। তার পরিবার যাতে এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য মহান স্রষ্টার কাছে
প্রার্থনা করি।’
তথ্য
মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার
এদিন
বিকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন
সংস্থাগুলোর মধ্যে মনোনীত কর্মচারীদের হাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার
তুলে দেন হাছান মাহমুদ। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খন্দকার ও ঊর্ধ্বতন কর্মচারীবৃন্দ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী দপ্তর প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ, ২য় থেকে ৯ম গ্রেডের অফিসারদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (প্রশাসন-৪) মো. রাশিদুল করিম, ১০ম থেকে ১৬তম গ্রেডের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তার প্রীতি, ১৭তম থেকে ২০তম গ্রেডের মধ্যে অফিস সহায়ক শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।