প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:০৯ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:১২ পিএম
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হরতাল, অবরোধসহ সব ধরনের কর্মসূচির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে সিলেটের উদ্দেশে রোডমার্চ করছে বিএনপি। কর্মসূচি শুরুর আগে সকালে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে দলটির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা আগুন দিয়ে মানুষ মারি না, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াই না। আমরা তো পথচারীদের বস্ত্র হরণ করি না। আমরা এখনও হরতাল দিইনি। হরতাল দেওয়া দরকার আছে? অবরোধ দেওয়ার দরকার আছে? আপনারা পালন করবেন?’
তার এসব প্রশ্নের জবাবে নেতাকর্মীরা জবাব দেন, ‘হ্যাঁ’।
এ সময় গয়েশ্বর বলেন, ‘ঠিক আছে, আপনাদের রায় পেলাম।’
নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হরতাল করি নাই, কিন্তু করব না সেই প্রতিজ্ঞাও করিনি। জনগণের চাপের কারণে হরতাল-অবরোধ যা যা করা দরকার, গণতান্ত্রিক পন্থায় এ অবৈধ সরকারকে মাটিতে বসিয়ে দেওয়ার জন্য দল, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সব ধরনের কর্মসূচি হবে। সেজন্য আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।’
তিনি ঘোষণা দেন, ‘আমাদের এবারের আন্দোলন “ডু অর ডাই”। হয় মরব, নয়তো লড়ব। দেশের মানুষকে মুক্ত করব, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব এবং দেশের মানুষের মালিকানা ফেরত দেব।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বেলা সোয়া ১১টার দিকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে সিলেটের উদ্দেশে রোডমার্চ শুরু হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড দিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শেরপুর হয়ে বিকালে সিলেট গিয়ে কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পথে পথে নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রোডমার্চে থাকা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ রোডমার্চকে সমর্থন দিচ্ছেন।’
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেশ আলী মামুন, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।