প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:১৮ এএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:৫০ এএম
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে সিলেটের উদ্দেশে রোডমার্চ করতে চলেছে বিএনপি। কর্মসূচি শুরুর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে দলটির সমাবেশ হবে। এর পর সেখান থেকে রোডমার্চ শুরুর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড দিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শেরপুর হয়ে বিকালে সিলেট গিয়ে কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সিলেট বিভাগের এই রোডমার্চ দিয়ে শুরু হতে চলেছে বিএনপির পাঁচ বিভাগে পাঁচটি রোডমার্চের কর্মসূচি।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধান অতিথি ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি থাকবেন। এ ছাড়াও বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন প্রমুখ।
শরিফুল আলম বলেন, রোডমার্চকারীদের সিলেটে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর পর সেখানে সমাবেশ হবে।
এ ব্যাপারে বিএনপির সিলেট মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মিফতা সিদ্দিকী বলেন, সিলেট আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে রোডমার্চকারীরা সমবেত হবেন। সেখানে বক্তৃতা করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করবেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন।
সিলেটের এই রোডমার্চের পর ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিভাগে বিভাগীয় শহর থেকে পটুয়াখালীতে, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগে বিভাগীয় শহর থেকে কিশোরগঞ্জে এবং ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে এ কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রোডমার্চ হয়েছে।
এরই মধ্যে গতকাল বুধবার রোডমার্চকে সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা করেছে ভৈরব উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও এর অঙ্গদলগুলো। পরে স্থানীয় বিএনপি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে বক্তৃতা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সিলেট বিভাগের রোডমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির নেতা হাবিব উন নবী সোহেল ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম।
সিলেট বিএনপির নানা প্রস্তুতি
রোডমার্চ ও সমাবেশ সফল করতে গত মঙ্গলবার বিকালে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার একটি হোটেলে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেছেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এই বৈঠক থেকে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, রোডর্মাচ সিলেট বিভাগের পাঁচটি জেলাকে অতিক্রম করবে। প্রতিটি জেলায় একটি করে সমাবেশও করবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন) বলেন, জেলা ও মহানগর বিএনপির বিকাল চারটার সমাবেশে আমরা সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাই। রোডমার্চের প্রস্তুতিতে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো বাধা দেয়নি। বিএনপিও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, রোডমার্চ ও সমাবেশ সফল করতে সিলেটে বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতিমূলক বৈঠক, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, মাইকিংসহ প্রচারমূলক নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের অনুমতির বিষয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ করার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে গত সোমবার একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. সোহেল রেজাকে একাধিকবার কল করলেও তারা ফোন ধরেননি। উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের ফোন বন্ধ রয়েছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. জোবায়েদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অনুমতির বিষয়টি তার জানা নেই।