নারায়ণগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪৩ পিএম
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার জাতির কাছে বেঈমান হিসেবে গণ্য হবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন বা দেবেন। তবে বিএনপি একটি সর্ববৃহৎ দল। যেখানে দেশে ৮৫ শতাংশের বেশি বিএনপির সমর্থক। এর মধ্যে তৈমূর আলম খন্দকারের মতো একজন অথবা তার মতো ১০০ লোকও যদি দল ছেড়ে গেলেও কিছু আসে যায় না। তারা গিয়ে জনবিছিন্ন হয়ে পড়বে। এরকম জনবিছিন্ন মানুষ আগেও ছিল অথবা ভবিষ্যতে আরও বেশি হয়ে যাবে।
তৈমূর একজন ভোটার হিসেবে থাকতে পারতেন উল্লেখ করে দিপু বলেন, তৈমূর আলম খন্দকার সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি শুধু তিনি না, যাদের ক্ষমতার লোভ বেশি কিংবা টাকাকে গুরুত্ব দেয় তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করেন। তিনি একসময় বিএনপি থেকে অনেক কিছু পেয়েছেন। দল তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বানিয়েছে, বিআরটিসির চেয়ারম্যান বানিয়েছে, এত কিছুর পরেও দলের দুঃসময়ে দলকে দিতে পারুক অথবা না পারুক দলের একজন ভোটার হিসেবে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, একটি কথা আছে মীর জাফর যুগে যুগে চলে আসে। আসলে তিনি মীর জাফরের মতোই কাজ করছেন। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়েই তিনি এ কাজটা করছেন। এটার মাধ্যমে তিনি সারা জীবনের জন্য শুধু দলের কাছে নয়, জাতির কাছে বেইমান হিসেবে গণ্য হবেন। ব্যক্তিগতভাবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে তৈমূর আলম খন্দকারের কোনো বলয় ছিল না। তিনি দলের ওপর ভিত্তি করেই বলয় তৈরি করেছিলেন। যেহেতু তিনি এখন দলে নেই সে হিসেবে এখন তার কোনো বলয়ও থাকবে না।
দিপু বলেন, তৈমূর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিষ্কার করার কারণ রয়েছে। তাকে বহিষ্কারের অন্যতম কারণ ছিল দল যেখানে বলছে এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। সেখানে তিনি নিজের ইচ্ছার জন্য অথবা কারও অনুপ্রেরণা পেয়ে লোভের আশায় নির্বাচন করেছে। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছে। দল তাকে বহিষ্কার করাটাই স্বাভাবিক ছিল। এটার পরে কীভাবে আশা করেন দল তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।