প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:৪৪ এএম
ফাইল ছবি
তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের (খালেদা জিয়ার) উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে নতুন এই দলটির প্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন তারা। তাদেরকে তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ পদে পদায়ন করা হতে পারে।
এ ছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে, বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময় বাদ পড়া এবং ক্ষোভ-অভিমানে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া অনেক নেতাও গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়া এই দলটিতে যোগ দিতে পারেন। এই তালিকায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তারও রয়েছেন।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। তারা একটা ভালো পদে থাকবেন।’
বিএনপিকে ভাঙার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই বলে জানান তিনি।
বিএনপির সাবেক নেতা নাজমুল হুদার মৃত্যুর পর তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন তার মেয়ে অন্তরা হুদা।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপি তাকে গত দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে। তিনি তো আর দল ছাড়েননি। তিনি আওয়ামী লীগেও যাবেন না। যেহেতু বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে, তাকে এখন তৃণমূল বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ পদে থাকবেন বলে আশা তার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সাবেক নেতা শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে, তিনিও তাদের সঙ্গে থাকছেন। তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিএনপির অনেক নেতা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে শমসের মবিন চৌধুরীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন চারদলীয় জোট সরকারের সময়কার পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী। পরের বছর দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য হন শমসের মবিন চৌধুরী। এখনও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিকল্পধারা থেকে পদত্যাগ করেননি বলে জানা যায়। অন্যদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তৈমূর আলম খন্দকারকে বহিষ্কার করে বিএনপি।