পুড়ে যাওয়া কৃষি মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে নানক
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১৮ পিএম
পুড়ে যাওয়া কৃষি মার্কেটে যার যেখানে দোকান ছিল, তাকে সেখানেই বরাদ্দ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
গতকাল রবিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের পুড়ে যাওয়া কৃষি মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক সরকারের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও একটি তদন্ত কমিটি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘কীভাবে আগুন লেগেছে, সেটি কমিটি বের করবে। কী দুর্বলতা ছিল, কী দুর্বল দিকগুলো ছিল তা দেখবে?’
নানাক বলেন, ‘এখানে আমরা আকাশ-কুসুম কল্পনা করতে চাই না। ছয় তলা, নয় তলা, ১৪ তলা মার্কেট কবে হবে; এই ভরসার জোরে মানুষগুলো অনিশ্চয়তায় থাকতে পারে না। দোকান মালিক, দোকানদাররা যা চাইবেন, তাই হবে। এর বাইরে কিছু হবে না। আমরা এর বাইরে কিছু করতে দেব না। মার্কেটটা নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মার্কেট। সেই প্রাণের মার্কেটটি পুড়ে গেছে, আমাদের হৃদয়ও পুড়ে গেছে।’
দোকান বরাদ্দের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে কেউ বঞ্চিত হবেন না। অসাধু চিন্তা বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই। আমি মেয়রের সঙ্গে আলাপ করব। সরকারের পক্ষ থেকে সব বিষয়ে তদারকি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ নিউ ইয়র্কে গেছেন। তিনি দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আমি এ বিষয়ে কথা বলব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নং স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ সরকার ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সলিমুল্লাহ সলু। কৃষি মার্কেটের আগুনের ঘটনায় এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সলিমুল্লাহ সলু ও তার লোকজনকে সন্দেহ করছেন অনেক ব্যবসায়ী। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, কয়েক বছর ধরে মার্কেটটি ভেঙে ১২ তলাবিশিষ্ট বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সলু। কিন্তু দোকানদারদের বাধার মুখে তা সম্ভব হচ্ছিল না। তাদের উচ্ছেদ করতেই পরিকল্পিতভাবে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশে গতকাল রবিবার ‘কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড : কাউন্সিলর সলুকে সন্দেহ করছেন ব্যবসায়ীরা’ শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।