প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৩ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১৪ পিএম
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন লেগেছে। এখন পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভেনি। কিছু দিন পরপর মার্কেটগুলোতে আগুন লাগছে। মানুষ সর্বস্ব হারাচ্ছে। একদিকে মানুষের পেটে আগুন অন্যদিকে মার্কেটে আগুন, এর দায় সরকার এড়াতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভের আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে মানুষ দিশেহারা ও নাকাল। বাজারের আগুনে মানুষ আজ বড় অসহায়। এর মধ্যে জীবন টিকিয়ে রাখতে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে। গোটা বাজারব্যবস্থায় রীতিমতো নৈরাজ্য চলছে।’
তিনি বলেন, ’সরকারের সঙ্গে মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের অশুভ আঁতাত ও যোগসাজশের কারণেই বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন। বাজারে চলছে চরম স্বেচ্ছাচারিতা। উৎপাদন, সরবরাহ ও মজুদে তেমন কোনো ঘাটতি না থাকলেও প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে।’
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ’সরকারের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য অস্বীকার করায় এরা এখন আরও বেপরোয়া।’
সাইফুল হক প্রশ্ন রেখে বলেন, ’যে সরকার মশা মারতে পারে না সেই সরকার কীভাবে দেশ চালাবে?’
ডেঙ্গুতে মৃত্যুকে তিনি হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন।
জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাশের কঠোর সমালোচনা করে সাইফুল হক বলেন, ’হয়রানি ও নিপীড়নমূলক নতুন এই আইন নাগরিকদের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থি, কোনো সভ্য দেশ পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের অনুমতি দিতে পারে না।’
তিনি বলেন, ’বিরোধী দল ও মতকে দমন করার এই আইন দেশকে আরও নিপীড়নমূলক ও স্বৈরতন্ত্রী করে তুলবে।’
সাইফুল হক বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে সরকার আজ দেশ ও জনগণকেই বাজি ধরেছে। তিনি অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে গণজাগরণ ও গণ-অভ্যুত্থানের ডাক দেন।
বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, ঢাকা মহানগর সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে পার্টির বিক্ষোভ মিছিল প্রথমে পুরানা পল্টনে পুলিশের ব্যারিকেডের সম্মুখীন হয়। নেতাকর্মীরা ব্যারিকেডটি ভেঙে জিরো পয়েন্ট দিয়ে সচিবালয়ের মুখে দ্বিতীয় ব্যারিকেডের মুখোমুখি হয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। এতে পার্টির কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
পরে সম্পাদক সাইফুল হক সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ’দাবি আদায় না হলে অচিরেই সচিবালয় ঘেরাওসহ আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’