প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:২০ পিএম
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে নানা অপশক্তি সামনে আসতে পারে। অগণতান্ত্রিক ধারা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে, যা দুঃশাসনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করবে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতিনিষ্ঠ অবস্থানে থেকে দলকে দৃঢ়তার সঙ্গে দুঃশাসন হটানো ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সংগ্রাম অগ্রসর করার আহ্বান জানানো হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভা শুরু হয়েছিল।
সভায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে বক্তব্য দেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বক্তব্য দেন পার্টির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, এ এন রাশেদা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, লক্ষী চক্রবর্তী, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, রফিকুজ্জামান লায়েক, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, আহসান হাবিব লাবলু, জলি তালুকদার, অধ্যাপক এম এম আকাশ, ডা. দিবালোক সিংহ, অ্যাডভোকেট মণ্টু ঘোষ, ডা. ফজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা, মনিরা বেগম অনু, অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদ, অ্যাডভোকেট মাকছুদা আক্তার লাইলী, কাজী রুহুল আমিন, এস এ রশীদ, রাগীব আহসান মুন্না, ডা. মনোজ দাশ, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, মো. কিবরিয়া, লুনা নূর, আবিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি, মোতালেব মোল্লা, প্রকৌশলী নিমাই গাঙ্গুলী, পরেশ কর, হাফিজুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, লাকী আক্তার, কাবেরী গায়েন, মানবেন্দ্র দেব, জাহিদ হোসেন খান, হাসিনুর রহমান রুশো, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, মিজানুর রহমান সেলিম প্রমুখ।
সভায় ২৮, ২৯, ৩০ সেপ্টেম্বর সারা দেশে বিশেষ সাংগঠনিক সফরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ সফল করারও আহ্বান জানানো হয়। জনজীবনের বিশেষত শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জীবন-জীবিকার সংকট বৃদ্ধিতে সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভায় কমরেড আলতাফ হোসাইন, কমরেড খন্দকার লুৎফর রহমান, কমরেড মো. ইসমাইল হোসেন ও কমরেড অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিমকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়।