প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১৩ পিএম
রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এক সভায় রুহুল কবির রিজভী। প্রবা ফটো
বিএনপির আন্দোলনে লোকসমাগম দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন। এটা চাওয়া কোনো ষড়যন্ত্র নয়, এটা জনগণের দাবি।’
শনিবার (২৬ আগস্ট ) দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এক সভায় তিনি এসব কথা
বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক বাংলাদেশ সম্মিলিত
পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক ও এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের
(এ্যাব) সাবেক সভাপতি আমার দেশ সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান ও যায় যায়
দিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে ‘ফরমায়েশি সাজার’
প্রতিবাদে ‘মাহমুদুর রহমানের সংগ্রাম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে
এ্যাব।
রিজভী বলেন, কুষ্টিয়ায় আদালতে মাহমুদুর রহমানের ওপর ভয়ংকর আক্রমণ করা হয়েছে। এটা কি একটা রাষ্ট্র? আজকে যে অভিযোগে আমেরিকার আদালত মামলা বাতিল করে দেয় সেখানে বাংলাদেশে একটা নিউজের কারণে বিচার করা হয়। এটা তো আওয়ামী লীগের আদালত।
ওয়ান ইলেভেন দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ বলেও মনে করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ধারা ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকেই শুরু হয়েছে। এজন্য আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন-ওয়ান ইলেভেন তাদের আন্দোলনের ফসল। সেসময় সেনাপ্রধান মঈন উদ্দিন আহমেদ বলছিলেন- হাওয়া ভবনের কারণে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের নামে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে! পরে সেটার দাঁতভাঙ্গা জবাব কলামের মাধ্যমে দিয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান। তিনি লিখেছিলেন- গোটা ৫ বছরে বাজেট হলো ১৩ হাজার কোটি টাকা। সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে কীভাবে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিএনপি আন্দোলনের বারটা
বেজে গেছে এমন মন্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ‘তিনি (ওবায়দুল কাদের)
ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন। তারা তাদের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা রাখতে এসব
বলছেন।’
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমানের ওপর প্রবন্ধ পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, এ্যাব নেতাদের মধ্যে প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, গোলাম মাওলা, সুমায়েল মল্লিক, মাহবুব আলম, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, মোতাহার হোসেন প্রমুখ।