প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৫১ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৬:০২ পিএম
রাজধানীর ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৭ আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাশেদ খান মেনন। প্রাব ফটো
দেলাওয়ার
হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জামায়াত সহিংসতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সারা দেশে সন্ত্রাস
ও সহিংসতা করছে। সম্প্রতি সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জামায়াত সহিংসতা করছে এবং ভবিষ্যতে
আরও করবে বলে আমি মনে করি।’
শুক্রবার
(১৮ আগস্ট) রাজধানীর ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৭ আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী
দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা
বলেন।
মেনন
বলেন, আজকে বিএনপি-জামায়াত দেশজুড়ে সন্ত্রাস ও সহিংসতা করছে। সম্প্রতি সাঈদীর মৃত্যুকে
কেন্দ্র করে জামায়াত সহিংসতা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী নির্বাচন
করা। সেটা করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্রের সাথে হাত মিলিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাকচ্যুত
করা।
তিনি
বলেন, ‘নির্বাচন ইস্যুতে আমাদের দেশে
যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে। এখন আমরা যদি বলি, তোমাদের নির্বাচনে
কি হচ্ছে, ট্রাম্পকে জেলে পাঠানো হচ্ছে কি-না, কৃষ্ণাঙ্গরা ভোট দিতে পারছে কি-না? এসব
জানতে প্রতিনিধি দল পাঠাব। তখন তারা বেঁকে বসবে। আজকে আমেরিকা বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে
সকল ডানপন্থী শক্তিকে একত্রিত করেছে। তাই ওয়ার্কার্স পার্টি একটি প্রতিজ্ঞা নিয়ে
মাঠে নেমেছে। সেটি হলো রুখ আমেরিকা, রুখ জামায়াত।’
বিএনপির
সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দেখলাম বিএনপির যুগ্ম
মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছে, সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি মির্জা ফখরুল অভিযোগ
করে বলেছেন, তারা আন্দোলনে নামলেই সরকার নাকি জঙ্গি নাটক সৃষ্টি করে। আসলে জামায়াতকে
নিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি।’
তিনি
বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর জামায়াতকে নিয়ে ক্ষমতায় বসে বিএনপি।
স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায়নের যে প্রক্রিয়া জিয়াউর রহমানের আমলে শুরু হয়েছিল,
ধর্ম ব্যবসায়ী ও স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত সেটি পুনরায় পাকাপোক্তভাবে এগিয়ে নিল।
এমনকি ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের
নাগরিকত্বহীন জামায়াত নেতা গোলাম আজমকে জামায়াত তাদের আমির ঘোষণা করল। এ ঘটনার পর ৫টি
বামদল ও আওয়ামী লীগের তরফ থেকে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী জাহানারা ইমামের
নেতৃত্বে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির যাত্রা শুরু হয়। পাশাপাশি আমরা পাঁচটি বামদল ৫
দফা ঘোষণাও করেছিলাম।’
ধর্মীয় উপাসনালয়কে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সেদিন বায়তুল মোকাররম,
কমলাপুর বৌদ্ধবিহার, কাকরাইল গীর্জা ও ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আমরা স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম।
তখন ফ্রিডম পার্টির তরফ থেকে যুব কমান্ড নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। তারা সংগ্রাম
ও মিল্লাত পত্রিকায় বামপন্থীসহ প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয়দের হত্যার
তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় আমার নামও ছিল।’
ওয়ার্কার্স পার্টির পুলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন
শিক্ষাবিদ শাহজাহান সিদ্দিকী মঞ্জু, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল প্রমূখ।
সঞ্চালনা করেন মোস্তাফা আলমগীর রতন।
আলোচনা সভার শেষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও হেপাটাইটিস বি পরীক্ষা কার্যক্রমের
উদ্বোধন করেন রাশেদ খান মেনন।