প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৩ ১৪:২৯ পিএম
রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে যুবলীগ আয়োজিত স্বারকলিপি প্রদান পূর্ববর্তী সমাবেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। প্রবা ফটো
১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই এ দেশে পাকিস্তানের ভাবধারা চলতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকে যার হত্যা করেছিল তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। হত্যা করতে চেয়েছিল এদেশে মানুষের ২০০ বছরের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কানাডার ফেডারেল কোর্ট কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠনের আখ্যা পাওয়া বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে যুবলীগ আয়োজিত স্বারকলিপি প্রদান পূর্ববর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ পরশ বলেন, ‘আমরা কিছু পেটার্ন (নমুনা) দেখলেই বুঝতে পারব যে জিয়াউর রহমান কিভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। যেভাবে ‘৭১ সালে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছিল ঠিক সেভাবে ‘৭৫ সালেও নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে চিরতরে মুছে ফেলার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ‘৭৫ এর পরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন করেন, মানুষের অধিকার নিয়ে বিএনপি কোনদিন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে? ক্যান্টনমেন্টে বসে এই দল গঠিত হলো। জিয়ার রহমান কোনো রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে নাই। ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে তার বাসা। অগণতান্ত্রিক প্রন্থায় যদি কোনো দল গঠন হয়ে থাকে সেই দলের নাম হচ্ছে বিএনপি।
১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে কারা প্রশ্ন রেখে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, তখন লজ্জা করে নাই, যখন ওই নির্বাচনে ৩০০ আসন পকেটে নিয়েছিলেন। আর ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার ব্যবস্থা করেছেলেন? ২০০১ সালে বিরোধী দলকে শেষ করার পায়তারা করেছিল কারা? ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। এতেই প্রমাণিত হয় তারা স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা এদেশের সৃষ্টির যে আদর্শ সেই আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
সকলকে আহ্বান জানিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা খুনিদের প্রশ্রয় দেবেন না। খুনিদের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।’
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যুবলীগ এবং কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।