প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩ ২০:২৪ পিএম
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩ ২০:৪৪ পিএম
জাতীয় প্রেসক্লাবে এমাজউদ্দীন আহমদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় স্মারক বক্তব্য দেন আবুল কাশেম ফজলুল হক। ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, দেশে যে রাজনীতি চলছে তা অস্বাভাবিক। তবে বিদেশি শক্তি এসে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেবে, সেটি আশা করার কারণ নেই।
শনিবার (২২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি।
আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু ছাত্রদল-ছাত্রলীগসহ সব দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। দলে সম্পৃক্ত থাকা সত্ত্বেও তিনি বিএনপির সবকিছু মেনে নিতেন না, বিএনপি ভুল করলে তিনি সেগুলোর প্রতিবাদ করতেন, সঠিক গণতন্ত্র মেনে নেওয়ার জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাবেক অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি, লেখক ও গবেষক আব্দুল হাই শিকদার, অধ্যাপক আবুল কাশেম হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. ওবায়দুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও এমাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা।
ড. ওবায়দুর রহমান বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ তার লেখা বইয়ের মাধ্যমে আমাদের মাঝে সারা জীবন বেঁচে থাকবেন। তিনি একজন সহজ-সরল আদর্শবান ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য তার অনেক অবদান রয়েছে।
অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ একজন আদর্শবান জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। দেশের এই ক্লান্তিকালে একজন এমাজউদ্দীন আহমদের অনেক প্রয়োজন ছিল। তিনি গণতন্ত্র রক্ষায় অনেক সংগ্রাম করেছেন। তিনি বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার তাকে তিনটি মামলা দিয়েছিলেন। তিনি বৃদ্ধ বয়সে তার এই মামলার জন্য বার বার আদালতের কাঠগড়ায় হাজিরা দিয়েছিলেন। এটি ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট।
এমাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ড. দিল রওশন জিন্নাত বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ ৩০টি বই লিখে গেছেন। তার লেখনী ছিল বাস্তবসম্মত এবং সবার কাছে গ্রহণীয়। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে লিখেছেন। তার লেখার মধ্যে রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, জনপ্রশাসনও রয়েছে। সেই বইগুলোকে আমরা সবার কাছে পৌঁছে দেব, যাতে দেশের মানুষ উপকৃত হয়।