× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শুরুতেই হোঁচট বামদের যুগপৎ আন্দোলনে

জয়ন্ত সাহা

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩ ১০:৫৩ এএম

শুরুতেই হোঁচট বামদের যুগপৎ আন্দোলনে

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকট, অর্থ পাচারের মতো নানা ইস্যুতে বিক্ষোভ সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচির পর এবার নির্বাচনকালীন ‘তদারকি সরকার’-এর দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদকে পাশে চায় সিপিবি-বাসদ। পঙ্কজ ভট্টাচার্যের ঐক্য ন্যাপকেও যুগপৎ আন্দোলনে শামিল করতে চায় বাম জোট। 

তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাম গণতান্ত্রিক জোটের তদারকি সরকারের দাবিতে ‘যুগপৎ আন্দোলন’ শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে। কারণ যাদের নিয়ে এই আন্দোলন করতে চায় তারা- রাজনৈতিক বাস্তবতায় সুর বদলেছে অনেক দলের। বাম জোটের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকার কথা বললেও বাংলাদেশ জাসদ, ঐক্য ন্যাপ নেতারা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার আভাস দিয়েছেন।

এদিকে বাম জোটের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে দ্বিধায় থাকা নিবন্ধনহীন সাতটি বাম দলের জোট ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা কেবল ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিতে বাম জোটের পাশে থাকতে চায়। এ ছাড়া গণফোরাম, গণমুক্তি কাউন্সিল, গণতন্ত্রী পার্টির অবস্থান বা তাদের নিয়ে বাম জোটের কী ভাবনা তাও স্পষ্ট করতে পারেনি এখনও। সব মিলিয়ে বাম জোটের নির্বাচনকালীন তদারকি সরকারের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের ভাবনা কোনো বাস্তব রূপ পায়নি।

যুগপৎ-এ কারা থাকবে, এ নিয়েই প্রশ্ন 

২০২২ সালের ১১ অক্টোবর নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অগণতান্ত্রিক সংশোধনী ও কালাকানুন বাতিলসহ ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে নিজেদের অবস্থান জানায় বাম গণতান্ত্রিক জোট।

গত বছরের অক্টোবরে ১০ দফা দাবি উত্থাপনের পর বাম জোট প্রথমে বাংলাদেশ জাসদ ও ঐক্য ন্যাপের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ঐক্য ন্যাপের প্রয়াত সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যও বাম দলগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার উদ্যোগ নেন। তিনি সিপিবি, বাসদের পাশাপাশি বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, গণমুক্তি কাউন্সিল, গণতন্ত্রী পার্টির একাংশকে যুক্ত করতে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করেন। 

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর বাম দলগুলোর ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগ থমকে যায়। পরে আর বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে ঐক্য ন্যাপের যুগপৎ আন্দোলনের কোনো কর্মসূচিও আসেনি। 

সিপিবি-বাসদের পক্ষ থেকে ওই দলগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে গণফোরামের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে তেমন সায় পাওয়া যায়নি। বৃহত্তর আন্দোলনে গণফোরামকে সঙ্গে না নেওয়ার ‍যুক্তি দেখিয়ে সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘গণফোরামের ভূমিকা আনপ্রেডিক্টেবল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে ওরা যে ভূমিকা নিয়েছিল তা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। রাজপথের গণতন্ত্র আর ড্রয়িংরুমের গণতন্ত্র তো এক ব্যাপার নয়। আপাতত আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে ওদের ডাকছি না।’

তবে বৃহত্তর কর্মসূচিতে গণফোরামের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বাম জোট। বাম জোটের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই ড. কামাল হোসেনের দলের অংশগ্রহণ আশা করছেন। গণফোরামের পক্ষ থেকেও সায় আছে এ বিষয়ে। দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে গণতন্ত্রমনা, প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তির একটি বড় ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।’ 

সরকার পতন, তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে দ্বিধা

আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচনকালীন তদারকি সরকারের দাবিতে দেশব্যাপী বৃহত্তর কর্মসূচি দেবে বাম জোট। ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে বাম জোট নেতারা ঢাকায় ফিরছেন। আগামী সপ্তাহে বাম জোট বৃহত্তর কর্মসূচি নিয়ে নিয়মিত বৈঠক শুরু করবে বলে জানা গেছে। 

তবে বাম গণতান্ত্রিক জোট যে তদারকি সরকারের কথা বলছে, সেই সরকারের রূপরেখা কেমন হবে, তা নিয়ে ভিন্নমত আছে বাম জোটে। বাসদ তদারকি সরকারে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা বললেও সিপিবি নেতারা চান নির্বাচনকালীন সরকারের সব সদস্যই হবেন অরাজনৈতিক ও বেসামরিক ব্যক্তি।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করলে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের ১২-১৫ জন এমপিকে সেই তদারকি সরকারের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। কারা সেই ১৫ জন এমপি বা উপদেষ্টা হবেন, তা রাজনৈতিক সমঝোতাতেই নির্ধারিত হতে পারে।’

তবে তাতে ভিন্নমত পোষণ করেছে সিপিবি। দলটির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের প্রধান হতে পারেন একজন বিচারপতি। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও সেই সরকারে থাকতে পারেন। তবে সুশীল সমাজ থেকে যারা প্রতিনিধি হবেন, তাদের রাজনৈতিক সংযোগও ভাবনায় রাখতে হবে।’

এদিকে গত ১৯ জুন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার পর বাংলাদেশ জাসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সায় দিয়েছে। বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘চলমান ব্যবস্থায় কোনো নির্বাচনে আমরা অংশ নেব না। দেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে প্রথমে জনগণের ভোটাধিকার, দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতিসহ সামগ্রিক পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হবে। তবেই না নির্বাচনের পরিবেশ আসবে। আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নেব। সরকার এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।’

ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক বলেন, ‘আমরা সরকারের পদত্যাগের কথা বলছি না। আমরা বলছি সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা, যেখানে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।’

বাম জোটের সঙ্গে যুগপৎ ধারায় থাকা ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা এখন নির্দলীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনকে প্রাধান্য না দিয়ে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের সংকট নিয়ে কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চায়। 

সাতটি নিবন্ধনহীন দলের এই জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা চলমান ব্যবস্থার পরিবর্তনে যে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করেছি, সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা আমরা বলিনি। বাম জোটের সঙ্গে এই ইস্যু নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়নি। তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতের চলমান সংকট ও দুর্নীতির চিত্র ভয়াবহ- জনজীবনের এই সমস্যাগুলো নিয়ে কর্মসূচিকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি।’

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। আমরা অনেক আলোচনা, সমালোচনার মধ্যেও ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমরা সংসদে গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।’

যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর এমন অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নানারকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা। এখন তারা যদি বলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেক্ষেত্রে ভোটের প্রক্রিয়া ও জনগণের অংশগ্রহণ কতটা নিশ্চিত করছে সরকার, সে দিকটিও বিবেচনায় নিতে হবে। তারপরও আমরা প্রতিটি দলের ‘রাজনৈতিক অবস্থান’ নিয়ে কথা নেব।’

সংলাপে ডাকলে যাবেন, আসন ভাগের প্রস্তাবনায় নেই কেউ 

এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের কিছুদিন আগে একটি সভায় বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দলকে আসন ভাগাভাগির প্রস্তাবনা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলোকে নিয়ে তারা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবেন।

রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাম দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা করতে পারে আওয়ামী লীগ। 

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আওয়ামী লীগ সংলাপ ডাকলে তাতে সিপিবি-বাসদ অংশ নেবে। তাদের শর্ত হলো, আওয়ামী লীগকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে নিতে হবে। 

সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘এটা এক ধরনের ব্ল্যাকমেইলিং পলিটিক্স। আওয়ামী লীগ, বিএনপির এমন প্রস্তাবনায় এর আগে অনেক ডান-বাম দল রাজি হয়েছে। সিট ভাগাভাগির রাজনীতিতে আমরা নেই।’ বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘২০১৮ সালেও তো এমন কিছু প্রস্তাব এসেছিল। বানরের পিঠা ভাগাভাগির মতো সিট ভাগাভাগিতে নেই আমরা।’

তবে ঐক্য ন্যাপ আর গণফোরাম সংলাপে গেলে নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানান নেতারা। ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক বলেন, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে, তার জন্য সংলাপের প্রয়োজন।’ সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন- ‘২০১৪, ২০১৮ সালের মতো যেন আরেকটা নির্বাচন না হয়, সেজন্য জাতীয় সংলাপের প্রয়োজন, প্রয়োজন রাজনৈতিক সমঝোতার।’

‘সরকারকে টলাতে যথাযথ চাপ দিতে পারেনি বাম দলগুলো’

নির্দলীয়, তত্ত্বাবধায়ক বা তদারকি সরকারের দাবিতে সরকারকে চাপে ফেলার মতো পরিস্থিতি বাম দলগুলো কখনও সৃষ্টি করতে পারেনি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে আন্দোলন, বিক্ষোভের যে কর্মসূচিই বাম দলসহ বিরোধী দলগুলো দিক না কেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাযথ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করেন তারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর যে ধরনের চাপ প্রয়োগ করা দরকার, বিরোধী দলগুলো সে ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি। তাদের আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তারা জনগণকে কতটা সম্পৃক্ত করে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারবে তার ওপর।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে যেসব দাবি তুলেছে তার মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই। তারা যেসব কথাবার্তা বলছে তার মধ্যে কিছু কিছু নেগোশিয়েটেবল বলে মনে হয়। তবে যতই সীমাবদ্ধতা থাকুক, আমাদের একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পৌঁছাতে হবে। পরস্পরের প্রতি জিরো টলারেন্স হলে কোনো কাজের কথা হবে না। হঠকারিতা বা অপশক্তি যদি কারও মাথায় চড়ে না বসে, আমি এখনও মনে করি আগামী নির্বাচনটি সব পক্ষের সম্মতিক্রমে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা