প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩ ১৬:৪৮ পিএম
আপডেট : ০২ জুন ২০২৩ ১৭:০৬ পিএম
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন, তাতে জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে মনে করে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
জোট মনে করে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী ভ্যাট ও করের জাল বিস্তৃত করেছেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি হামিদুল হকের যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) বিকালে সংবাদমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়েছে।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গণবিরোধী বাজেট’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বাম জোটের নেতারা।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার ঘাটতি নিয়ে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বড় বাজেট দেওয়া হয়েছে। এটি একটি গতানুগতিক ধনী তোষণ ও গরিব শোষণের বাজেট। এতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে বরাদ্দ তেমন বাড়ানো হয়নি। করযোগ্য আয় না থাকলেও ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে। এটি মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের শামিল। এ ছাড়া এবার বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ব্যক্তিনির্ভরতা বেড়েছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ সুরক্ষায় অপর্যাপ্ত বাজেটের সমালোচনার পাশাপাশি বাম জোটের নেতারা বলেন, প্রতিবছর শ্রমবাজারে আসা ২০ লাখ কর্মসংস্থানের বিষয়ে বাজেটে কোনো বক্তব্য নেই, বরাদ্দ নেই।
বাজেট সংশোধন করে সামরিক খাতসহ অনুন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমিয়ে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষিসহ জনক্যালনমূলক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।